পরকীয়া ফাঁস হওয়ায় নারী পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যা

জিএস নিউজ ডেস্কজিএস নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ১১:৪৬ এএম, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

পরকীয়ার ঘটনা ফাঁস হওয়ায় ইদুর মারার গ্যাসের ট্যাবলেট সেবন করে বগুড়ার ধুনট থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই ) রোজিনা আক্তার (৩২) আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

চাপাইনবাবগঞ্জ জেলায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল রফিকের সাথে পরকীয়া সর্ম্পক ফাঁস হওয়ায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেন পুলিশ কর্মকর্তা রোজিনা আকতার। মঙ্গলবার রাতে শজিমেক হাসপাতালে এতথ্য জানান, রোজিনার বাবা নান্নু মিয়া।

এর আগে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ধুনট থানা ভবনের পাশে ভাড়া বাসায় সে ইঁদুর মারার ট্যাবলেট সেবন করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

নান্নু মিয়া জানান, একবছর আগে রোজিনা বগুড়ার ধুনট থানায় যোগদান করেন। এক ছেলে এবং এক মেয়ে নিয়ে তিনি বসবাস করতেন। স্বামী হাসান আলী স্কুল শিক্ষক বসবাস করেন নাটোরের সিংড়ায়। স্বামীর সাথে সর্ম্পক ভাল না থাকায় রোজিনা তার মা ও দুই সন্তানকে নিয়ে আলাদা থাকতেন।

পুলিশ জানিয়েছে, নাটোরের সিংড়া উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের নান্নু মিয়ার মেয়ে রোজিনা আক্তার ২০০৭ সালে পুলিশের কনস্টেবল পদে যোগদান করেন। এরপর ২০০৮ সালে একই এলাকার আব্দুল লতিফ মোল্লার ছেলে হাসান আলীর সঙ্গে তারা বিয়ে হয়। রোজিনার স্বামী হাসান আলী সিংড়া উপজেলার দমদমা কারিগরি স্কুলের সহকারী শিক্ষক। রোজিনা খাতুন এএসআই  পদে পদোন্নতি পেয়ে ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি ধুনট থানায় যোগদান করেন।

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘দাম্পত্য কলহের কারণে নারী পুলিশ কর্মকর্তা আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর (ইউডি) মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এ ঘটনাটি নিয়ে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আপনার মতামত লিখুন :