বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হলেন কোটিপতি স্কুলশিক্ষক

স্টাফ রিপোর্টার:>>>
খলিলুর রহমান সিরাজী ছিলেন সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার চর আদিত্যপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। শিক্ষকতা ছেড়ে এবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন তিনি।
তার বিরুদ্ধে স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়ে কোটিপতির খাতায় নিজের নাম লিখিয়েছেন খলিল। তার অঢেল সম্পত্তি দেখে হতভম্ব গ্রামবাসী। সিরাজগঞ্জ শহরের দত্তবাড়ি এলাকায় নিজের ও স্ত্রীর নামে প্রায় সাড়ে ৫ শতক জমির ওপর পাঁচতলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন খলিল। এরই মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান হয়ে যান তিনি।
প্রথম ধাপের নির্বাচনে সিরাজগঞ্জের আটটি উপজেলায় খলিলুর রহমান সিরাজী ছাড়াও চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছয়জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে দুইজন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) দুইজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছে দুইজন। মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন তারা।
নির্বাচিতরা হলেন- চেয়ারম্যান পদে কাজিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান সিরাজী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক রিয়াজ উদ্দিন ও উল্লাপাড়া উপজেলায় সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শফি।
ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে উল্লাপাড়া উপজেলায় মনিরুজ্জামান পান্না ও শাহজাদপুর উপজেলায় লিয়াকত আলী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উল্লাপাড়া উপজেলায় রিবলি ইসলাম কবিতা ও শাহজাদপুর উপজেলায় এলিজা খান।
মঙ্গলবার রাতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে চেয়ারম্যান পদে তিনটি উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিল না। তাই তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুটি উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। উল্লাপাড়া উপজেলায় তিনটি পদেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় নির্বাচন হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।