দখলে আর দূষণে হারিয়ে যাচ্ছে দাগনভূঞার দাদনা খাল

দাগনভূঞা সদরের দক্ষিণ বাজার প্রকাশ নামার বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া দাদনা খালটি এখন মৃতপ্রায়। উপজেলা সদরের বৃহত্তম এ বাজারের সব বর্জ্য এ খালে ফেলা হচ্ছে। এছাড়া বর্তমানে খালটি জবরদখলের প্রতিযোগিতা চলছে।
প্রশাসনের নাকের ডগায় খালটি বেদখলে চলে গেলেও প্রশাসন নির্বিকার। অভিযোগ রয়েছে প্রশাসনের ছত্রছায়ায় কিছু অসাধু ব্যক্তি প্রতিযোগিতা করে খালটি দখলে নিয়ে যাচ্ছে। দাগনভূঞা বাজারের দক্ষিণ আলীপুর ও চৌধুরী হাটে যাওয়ার খালের ওপর একমাত্র সংযোগ কালভার্টটিও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। পৌরসভা খালটি দীর্ঘ সময় থেকে খনন করছে না। গরু জবাইয়ের জন্য আলাদা কোনো জবাইখানা না থাকায় বাজারের মধ্যে জবাই করে এ খালে গরুর আবর্জনা ফেলায় খালটি দিন দিন ভরাট হয়ে যাচ্ছে ও পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।
দুর্গন্ধের কারণে মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লি ও স্কুল-কলেজগামী ছাত্রছাত্রী ও পথচারীদের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। পাশের বাসাবাড়িতে বসবাসও অসম্ভব হয়ে পড়ছে। কালভার্টের দুই পাশের খালের পাড় দখল করে অবৈধ দোকানপাট গড়ে উঠছে।
এ ব্যাপারে পৌর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর করা হলেও কোনো ফল পাচ্ছেন না বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খালের জায়গা জবরদখল করা এক ব্যক্তি জানান, অর্থ দিয়ে সরকারদলীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করা হয়েছে।বর্তমানে দখলে যেহেতু আছি উচ্ছেদ করার ক্ষমতা কারও নেই।
এ ব্যাপারে পৌর মেয়র ওমর ফারুক খান জানান, বারবার জবরদখল উচ্ছেদ করার চেষ্টা করা হলেও আইনি জটিলতার কারণে পারা যাচ্ছে না। জবরদখলকৃতরা একসনা বন্দোবস্ত নিয়ে বহাল তবিয়তে ভোগদখল করে যাচ্ছে। খালটি ড্রেজিং করার জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প প্রেরণ করা হয়েছে। তহবিল অনুমোদন হলে জবরদখল থাকবে না। এরই মধ্যে দাগনভূঞা পৌর শহরের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শুরু হয়েছে।