আল্লামা শফীর অবস্থা উন্নতির দিকে

জিএস নিউজ ডেস্কজিএস নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ১১:৫০ এএম, ০৮ জুন ২০১৭

জিএস নিউজ ডেস্কঃ>>>

হেফাজতে ইসলামের আমীর শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেক উন্নতির দিকে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় আজগর আলী হাসপাতালের সিনিয়র ম্যানেজার ড. ইকবাল হুসাইন হাওলাদার পরিবর্তন ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘হেফাজতে আমির আল্লামা শফীর শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো। অনেক উন্নতির দিকে। তিনি কালকের চেয়ে আজ অনেক ভালো আছেন। ভয়ের আর কোনো কারণ নেই।’
এদিকে, হেফাজতে আমির আল্লামা শফীর একান্ত সচিব মাওলানা শফিউল আলম বলেন, ‘হুজুর আগের চেয়ে ভালো আছেন। তিনি ডাক দিলে শুনছেন। চোখ মেলে তাকাচ্ছেন। কিন্তু এখনও কখা বলেননি।’
রাজধানীর পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে আট সদস্যের মেডিকেল টিম গঠন করে হেফাজতে ইসলামের আমির শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বার্ধক্যজনিত শারীরিক দুর্বলতা ছাড়া তার কোনো রোগ নেই বলেও দাবি করেছেন এ ৮ সদস্যের মেডিকেল টিম।
বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. জাবরুল এসএম হকের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের ৮ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের অপর সদস্যরা হলেন- অভ্যন্তরীণ মেডিসিন ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ ডা. এআরএম নূরুজ্জামান, নেফ্রোলজি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. নূরুল ইসলাম, কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এমএ জুলকিফল, আভ্যন্তরীণ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. সরোয়ার-ই-আলম, হৃদরোগ (ইন্টারভেনশনাল) বিশেষজ্ঞ ডা. মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, শ্বাসরোগ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. আসিফ মোজতবা মাহমুদ, নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. নাজমুল হুদা বিপ্লব।
শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করায় গত ১৮ মে আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে চট্টগ্রাম মহানগরীর সিএসসিআর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
পরবর্তীতে চট্টগ্রামের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে তার শরীরে পেসমেকার স্থাপন করা হয়। এতে রক্তচাপ স্বাভাবিক ও ফুসফুসের পানি সরে গেলেও শারীরিক দুর্বলতা স্বাভাবিক হচ্ছিল না।
গত ১ জুন হেফাজত আমিরকে আইসিইউ থেকে সাধারণ কেবিনে আনার তিন দিনের মাথায় শারীরিক অবস্থার অবনতি ও ফের ফুসফুসে পানি জমে শ্বাস কষ্ট দেখা দেয়। ফলে তাকে আবারো তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। এরপরই আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য আল্লামা শফীকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
উন্নত চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত অ্যাম্বুলেন্স হেলিকপ্টারে করে মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম থেকে তাকে ঢাকায় আনা হয়।

আপনার মতামত লিখুন :