ঘুমন্ত মানুষের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ পুলিশের এসআইয়ের বিরুদ্ধে

ফেনী মডেল থানার এসআই মো. দুলাল মিয়ার বিরুদ্ধে ঘুমন্ত মানুষের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। তিনি শুধু নির্যাতন করেই ক্ষান্ত হননি। ধান চুরির একটি মামলায় ওই বাড়ির লোকদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করেছেন।
এ ব্যাপারে বুধবার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে এসআই দুলাল হোসেন, আবু তাহের সেলিম ও অজ্ঞাত ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইজিপি ও ফেনীর পুলিশ সুপার বরাবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর বেদরাবাদ গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত আবদুর রহিম জানান, গত ২৩ ডিসেম্বর রাত দেড়টার দিকে ফেনী মডেল থানার এসআই দুলাল হোসেন দুইজন ফোর্স নিয়ে তাদের বাড়িতে আসেন। এসময় তার সঙ্গে আবু তাহের সেলিমসহ তার ভাড়াটে ১৫/২০ জন সন্ত্রাসীও ছিল। তারা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তার মেয়ে নাছিমা আক্তার, তার চার বছর বয়সী ছেলে আরাফাত হোসেন, আবদুর রহিমের ছেলে মো. আনিছুল হক, জিয়াউল হক ও মফিজুল হককে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় তারা ৪টি মোবাইল ফোন ও ৪ বস্তা ধান নিয়ে যায়।
শাকিব উদ্দিন নামে এক ভুক্তভোগী জানান,‘এসআই দুলাল হোসেনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা তাদের ঘরের দরজা ভেঙে একই কায়দায় ঘরে ঢুকে তাকে বধড়ক পিটিয়ে আহত করে। পরে তার ঘর থেকে ২ বস্তা ধান নিয়ে যায়।
নুরুজ্জামান নামে আরেক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বলেন, ‘পুলিশ একই কায়দায় আমার ঘরের দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে কাউকে না পেয়ে ৩ বস্তা ধান নিয়ে যায়। এর পর আমাদের আত্মীয় জিয়াউল হক, মফিজুল হক, আনিছুল হক ও নাছিমা আক্তারকে আটক করে থানায় নিয়ে এসআই দুলাল নির্যাতন করেন।
পরে গত ২২ ডিসেম্বর আবু তাহের সেলিমের দায়ের করা একটি ধান চুরির মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে। তাদের জামিন চাইলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
এ ব্যাপরে ফেনী বারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে একই গ্রামের মনকাজী পাটোয়ারী বাড়ির আবুল হাসেম পাটোয়ারীর ছেলে আবু তাহের সেলিমদের ১৭ শতক জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এ নিয়ে আদালতে দেওয়ানি মামলা চলছে। জমিটি ক্ষতিগ্রস্ত আবদুর রহিম ভোগদখল করে আসছেন। পুলিশ প্রতিপক্ষের পক্ষ নিয়ে তাদের ওপর নির্যাতন করেছে। এ বিষয়টি তিনি বিবাদী পক্ষের আইন আইনজীবী হিসাবে বিচারককে জানিয়েছেন। একই সঙ্গে পুলিশ হেড কোয়াটারসহ ফেনী পুলিশ সুপারকে লিখিতভাবে জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।
ফেনী মডেল থানার এসআই দুলাল মিয়া এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ওই এলাকায় আসামি ধরতে গেলে তারা ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করে। এ ব্যপারে থানায় জিডি করা হয়েছে।
ফেনী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, ‘কাউকে নির্যাতনের খবর আমার জানা নেই।
জিএসনিউজ/এমএইচএম/এমএআই