কথা রাখলেন অনন্ত জলিল, দায়িত্ব নিলেন রাজীবের দুই অসহায় ভাইয়ের
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ>>>
নিজের মানবতা আর উদারতার আরো একবার প্রমাণ দিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব হোসেনের ছোট দুই ভাইয়ের দেখভালের ঘোষণার দুইদিনের মাথায় তাদের থাকা-খাওয়া ও পড়াশুনার ‘বন্দোবস্ত করলেন’ তিনি।
‘মোস্ট ওয়েলকাম’ খ্যাত এ চিত্রনায়ক বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানান, দুই ভাইয়ের সঙ্গে ইতিমধ্যে যোগাযোগ করেছেন তিনি। সাভারের হেমায়েতপুরে তাদের জন্য একটি বাসা ঠিক করা হয়েছে। শিগগিরই স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় ভর্তি করানো হবে।
ঢাকার কারওয়ান বাজারে দুই বাসের রেষারেষির মধ্যে পড়ে হাত হারানো তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব হোসেন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। রাজীবই ছোট দুই ভাইয়ের দেখভাল করতেন বলে গণমাধ্যমের খবর জানার পর ফেইসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তাদের দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দেন অনন্ত জলিল।
তিনি লেখেন, “বাবা-মা হারা এই সন্তান তার ছোট দুই ভাইকে পিতা-মাতার স্নেহ দিয়ে আগলে রেখেছিলো। কিন্তু রাজীবের অকাল বিদায়ে তার দুই ছোট ভাইয়ের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়েছে। তাই আমার জন্মদিনে আমি চাইছি যে পরিবার হারা এই দুই সন্তানের পড়ালেখার দায়িত্ব নিতে।”
ঘোষণা দেওয়ার দুই দিনের মধ্যেই দুই ভাইকে খুঁজে বের করেন তিনি নিজেই। তাদের জন্য সব বন্দোবস্তোই ইতিমধ্যে করে ফেলেছেন বলে জানান অনন্ত জলিল। তিনি বলেন, “ওদের দুইজনকে সার্বক্ষণিক দেখভালের জন্য অফিসের একজন মুফতিকে দায়িত্ব দিয়েছি আমি। উনি প্রতিদিন তাদের দেখাশোনা করবেন। সপ্তাহে প্রতি শনিবার ওরা আমার সঙ্গে দেখা করবে। আমি যাতে ওদের খোঁজখবর রাখতে পারি সেকারণেই হেমায়েতপুরে রাখছি ওদের, আমার অফিসের কাছেই।”
বছর খানেক ধরেই ধর্মে-কর্মে মনোযোগী হয়েছেন এ অভিনেতা। ইসলামের দাওয়াত নিয়ে ঘুরছেন দেশ-বিদেশে। শুধুমাত্র রাজীবের ভাইয়ের দায়িত্ব নয়, প্রায়ই অসহায়দের পাশে দাঁড়ান তিনি। পেশাগত জীবনে গার্মেন্টস ব্যবসায়ী অনন্ত জলিল সামাজিক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে এ পর্যন্ত ৩টি এতিমখানা নির্মাণ করেছেন। মিরপুর ১০ এ বাইতুল আমান হাউজিং ও সাভার মধুমতি মডেল টাউনে আছে এতিমখানাগুলো।
তার মতে, “আল্লাহ সবাইকে তো সবকিছু দেয় না। আল্লাহ তায়ালা আমাকে যে অর্থটুকু দিয়েছেন আমি গরীব মানুষের পেছনে যদি খরচ করতে পারি এইটাই আমার শান্তি। কেউ মরার সময় কিছু নিয়ে যাবে না। সবাই খালি হাতে চলে যাবে।” আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই তিনি মানুষের পাশে দাঁড়ান বলে জানান তিনি।



