সুপ্রিম কোর্টের দেবী মূর্তি না সরালে সরকারের পতন অনিবার্য:: আল্লামা শাহ আহমদ শফী
বিশেষ প্রতিনিধিঃ>>>
১০ মার্চ শুক্রবার বিকেলে ফেনীর ঐতিহাসিক মিজান ময়দানে কওমী মাদরাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী ফেনী জেলা শাখার সম্মেলনে বলেন, সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে থাকা গ্রিক দেবীর ‘মূর্তি’ সরিয়ে না নেওয়া হলে বর্তমান সরকারের পতন অনিবার্য।
আল্লামা শফি আরো বলেন, ‘কোনো মুসলমানের দেশে আদালতের সামনে মহিলার মূর্তি থাকতে পারে না। আমেরিকা ও ভারতসহ কোনো বিধর্মীর দেশেও তা নেই। আমাদের এখানে কেন?’
হেফাজত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সকলকে দ্বীনের দাওয়াত দিতে হবে। সরাসরি না পারলে চিঠির মাধ্যমে দাওয়াত দাও।’
সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে গ্রিক দেবীর ‘মূর্তি’ স্থাপনের প্রতিবাদ ও অপসারণের দাবি এবং সংগঠনটির নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহরের দাবিতে এ সমাবেশ করে হেফাজতে ইসলাম।
হেফাজত নেতারা বলেছেন, ‘প্রয়োজনে আবারও শাপলা চত্বরে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে। অতীতে শাপলা চত্বরের অবস্থান কর্মসূচি থেকে আমরা হেফাজত আমিরের নির্দেশে চলে এসেছি, কিন্তু ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ যদি সরকার কঠোর হাতে দমন না করে এবং অবিলম্বে গ্রিক মূর্তি অপসারণ করা না হয় তাহলে আবারো শাপলা চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি দেওয়া হবে। এবার আর শাপলা চত্বর থেকে তৌহিদী জনতা ফিরে আসবে না, যতক্ষণ সরকারের পতন না হবে।’
সমাবেশে বক্তারা আরও বলেছেন, ‘সর্বোচ্চ বিচারালয়ের সামনে গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপন বাংলাদেশের গণমানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস, সংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও আদর্শিক চেতনার বিপরীত। কোনো মুসলমান মূর্তিকে ন্যায়বিচারের প্রতীক বিশ্বাস করলে তার ঈমান থাকবে না। বাংলাদেশে মূর্তি স্থাপনের চাহিদা ও সুযোগ কোনোটাই নেই। অবিলম্বে এই মূর্তি অপসারণ করতে হবে। অন্যথায় ঈমান, আকীদা ও ঐতিহ্য রক্ষার লক্ষ্যে মূর্তি অপসারণের দাবিতে প্রয়োজনে লাখ লাখ মানুষ নিয়ে ঢাকা ঘেরাওসহ শাপলা চত্বরে আবারও অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’



