এফআর টাওয়ারের মালিক বিএনপি নেতা তাসবিরুল আটক

MD Aminul IslamMD Aminul Islam
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ১১:০৪ এএম, ৩০ মার্চ ২০১৯

রাজধানীর বনানীতে এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এফআর টাওয়ারের অনুমোদনহীন অংশের মালিক বিএনপি নেতা তাসবিরুলকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ।

শনিবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে বারিধারার নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
এর আগে রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে।

শনিবার পুলিশ বাদী হয়ে বনানী থানায় মামলাটি করে। পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহমেদ জিএসনিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বৃহস্পতিবার বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের পাশের ১৭ নম্বর সড়কে ফারুক রূপায়ন (এফআর) টাওয়ারের ভয়াবহ আগুনে ঘটনাস্থলে ২৫ জন ও হাসপাতালে ১ জন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন ৭৩ জন।

আহতদের মধ্যে আবু হেনা মোস্তফা কামাল নামের একজনের আজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে।

ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে তার মৃত্যু হয়। এনিয়ে এ অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৬ জনে দাঁড়াল।

তাসভির উল ইসলাম কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। পাশাপাশি তিনি কাশেম ড্রাইসেলস কোম্পানি লিমিডেট নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নির্বাহী কর্মকর্তা।

১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বরে তিনি ভবনটির ভূমি মালিক ইঞ্জিনিয়ার ফারুক ও রূপায়ন গ্রুপ যৌথভাবে নকশা অনুমোদনের জন্য আবেদন করেন। তখন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ১৮ তলা ভবন নির্মাণের জন্য নকশা অনুমোদন দেয়।

পরে ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর ভবনটিকে ২৩ তলা পর্যন্ত বর্ধিত করে নির্মাণ করা হয়। ডেভেলপার কোম্পানি ভবনটির ২০ ও ২১তম তলাটি জাতীয় পার্টির প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য মাইদুল ইসলামের কাছে বিক্রি করে। মাইদুল ইসলামের কাছ থেকে ফ্লোর দুটি কিনে নেন কাশেম ড্রাইসেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিএনপি নেতা তাসভির উল ইসলাম। এরপর তিনি নকশা পরিবর্তন করে ছাদের ওপর আরও দুটি ফ্লোর নির্মাণ করেন।
এই এফআর টাওয়ারটি একাধিকবার পরিদর্শন করে এর অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার বিভিন্ন ত্রুটির বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছিল ফায়ার সার্ভিস। এজন্য কিছু সুপারিশও করা হয়েছিল। তবে পরপর দু’বার নোটিশ করেও কাজ হয়নি। ভবনের ফায়ার সেফটি ইস্যুতে কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি।

রাজউক সূত্র জানায়, ভবনটি ১৮তলা নির্মাণের জন্য প্ল্যান পাস হয় ১৯৯৬ সালে। কিন্ত ২০০৫ সালে এসে ভবন মালিক কর্তৃপক্ষ একটা কপি দাখিল করেন যে, ভবনটি ২৩ তলা হয়েছে। সেটাতে সন্দেহ হবার কারণে তদন্ত শুরু করে রাজউক। সেই তদন্তে দেখা যায়, যে কপি তারা দাখিল করেছেন সে সম্পর্কে রাজউকের রেজিস্ট্রারে কোনও তথ্য নেই। এ ব্যাপারে ২০০৭ সালে রাজউক একটি রিপোর্টও তৈরি করে। তবে ধারণা করা হচ্ছে- রাজউকের কিছু অসাধু কর্মকর্তার কারণে পরে এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

জিএসনিউজ/এমএইচএম/এমএআই

আপনার মতামত লিখুন :