৯ ঘণ্টার বেশি বসে কাজ করলে মৃত্যু ডেকে আনতে পারে!

টানা অথবা বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু এভাবে বসে ৯ ঘণ্টা বা তার চেয়ে বেশি সময় ধরে কাজ বা বসে থাকলে আপনার মৃত্যু ডেকে আনতে পারে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
সম্প্রতি দ্য ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে দিনে সাড়ে নয় ঘণ্টা অথবা তার বেশি বসে থাকলে অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ে। তবে ঘুমের সময়কে এর মধ্যে ধরা হয়নি।
গবেষণার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিনে সাড়ে ৯ ঘণ্টা বা তার বেশি বসে থাকলে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ে। তবে ঘুমের সময়কে এর মধ্যে ধরা হয়নি। ১৮ থেকে ৬৪ বছরের ব্যক্তিকে সপ্তাহে ১৫০ মিনিট হাল্কা শারীরিক কসরত ও ৭৫ মিনিট বেশ খাটনি করতে হবে।
কটানা বসে থাকলে শরীরের নয়টি অঙ্গ ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়– মাথা, হাত, পা, পায়ের পাতা, ঘাড়, পিঠ, ফুসফুস, পাকস্থলী এবং হার্ট।
স্পেনের সান জর্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, খুব কম বিরতিতে একভাবে বসে কাজ করলে বা টিভি দেখলে টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায় ৯০ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে সারাদিন বসে যাদের কাজ করতে হয় তাদের অন্তত প্রতি আধ ঘণ্টা পর একবার বিরতি নেয়া উচিত। সেক্ষেত্রে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি কিংবা দাঁড়াতে পারেন। যাদের ঘাড়, পিঠে ব্যথা হয় তাদের প্রতি আধ ঘণ্টা পর পর তাদের ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম করা উচিত।
শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবাই এ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। ভাইরাস জ্বরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে অন্যান্য সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়। তবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। এর সমাধান আছে আপনার রান্না ঘরেই।
মশলা ও বিভিন্ন হারবাল উপাদান দিয়ে তৈরি চা খেয়েই এই ভাইরাসজনিত জ্বরের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তবে আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই সেসব হারবাল চা সম্পর্কে।
১. ধনে বীজের চা
ধনে বীজে নানা ধরনের ভিটামিন, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, অ্যান্টিবায়োটিক যৌগ ও উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন উদ্বায়ী তেল রয়েছে, যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে ভাইরাসজনিত জ্বর কমাতেও ভালো কাজ করে ধনে বীজ।
যেভাবে বানাবেন ধনের চা: এক গেলাস পানিতে এক চামচ ধনে বীজ মিশিয়ে ভালো করে ফোটান। এরপর মিশ্রণটিকে কিছুটা ঠাণ্ডা হতে দিন। ঠাণ্ডা হলে অল্প দুধ ও চিনি মিশিয়ে ভাইরাসজনিত জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিকে চায়ের মতো করে খেতে দিন। দিনে কয়েকবার এই ধনে–চা খেলে জ্বর কমবে।
২. হারবাল চা:
হারবাল চায়ে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান থাকে। জ্বর হলে এই চা উপকারী। শরীরকে আর্দ্র রাখে এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়ার শক্তি জোগায় হারবাল চা। দিনে দুই বা তিনবার গরম চা আপনাকে অনেকটা আরাম দিতে পারে।
যেভাবে তৈরি করবেন হারবাল চা: চায়ের মধ্যে লবঙ্গ, দারুচিনি, এলাচি, আদা, বিভিন্ন, ধরনের পাতা জাতীয় জিনিস যোগ তৈরি করতে পারেন হারবাল চা। তিন থেকে চারবার গরম চা আপনাকে অনেকটা আরাম দিতে পারে।
৩. জবা ফুলের চা
শুকনো জবা ফুলের পাপড়ি পানিতে ফুটিয়ে নিয়ে তৈরি করা যায় জবা চা। এর নিজস্ব টক স্বাদ আছে এবং রুবি পাথরের মতো লাল রঙ হয় এই চায়ের রঙ। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান এবং কোলেস্টেরলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ও যকৃত পরিষ্কার করার উপাদান আছে। তাছাড়া ভাইরাসজনিত জ্বরের আদর্শ পানীয়। এছাড়া আপনি প্রতিদিন সকালে জবা চা পান করলে আপনি পেতে পারেন অনেক স্বাস্থ্য উপকার।
৪. আদা চা
স্বাস্থ্যের গুণাগুণের বিচারে আদাকে বলা হয় ‘পাওয়ারহাউস’। এটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে। প্রদাহ ও বেদনানাশক গুণও রয়েছে আদায়। শুধু তাই নয়, ভাইরাসজনিত জ্বর কমাতেও ভালো কাজ করে আদা।
যেভাবে বানাবেন আদা চা: দুটো মাঝারি মাপের শুকনো আদার টুকরো কুচিয়ে এককাপ পানি দিন। মিশ্রণটি ফুটিয়ে নিয়ে ঠাণ্ডা হতে দিন। ঠাণ্ডা হলে ছেঁকে নিন। দিনে তিন থেকে চার বার এই মিশ্রণটি খেলে ভাইরাসজনিত জ্বরে উপকার পাবেন।
৫. তুলসি পাতার চা
ভাইরাসজনিত জ্বরে তুলসি পাতা অত্যন্ত কার্যকরি প্রাকৃতিক দাওয়াই। কারণ এতে নানা–অ্যান্টি–ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান রয়েছে। এছাড়া এতে অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়াও জার্মিডিক্যাল ও ফাংগিসিডালের উপস্থিতির কারণে ভাইরাসজনিত জ্বরে তুলসি পাতার জুরি নেই।
কীভাবে খাবেন তুলসি পাতা চা: গোটা ২০টি তাজা তুলসি পাতা সংগ্রহ করে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এক লিটার পানীয় পানিতে পাতাগুলো দিয়ে হাফ চামচ লবঙ্গ গুঁড়ো মেশান। এবার এই মিশ্রণটিকে ফুটিয়ে নিন। এক লিটার পানি কমে হাফ লিটার হয়ে এলে, আঁচ থেকে নামিয়ে নিন। জ্বর অবস্থায় দু–ঘণ্টা পরপর এই মিশ্রণটি এক কাপ করে খান। উপকার পাবেন।
৬. পুদিনা চা:
পুদিনার শীতল প্রভাবের কথা আমরা সবাই জানি। ১ কাপ ধোঁয়া ওঠা গরম পানিতে কয়েকটি পুদিনা পাতা চূর্ণ করে দিন। এর সাথে কয়েকফোঁটা লেবুর রস যোগ করতে পারেন স্বাদ বৃদ্ধির জন্য। এবার চুমুক দিয়ে পান করুন পুদিনা চা।
৭. মেথি চা:
মেথিতে আছে ডিওসজেনিন, স্যাপোনিনস, অ্যালকালয়েডসের মতো নানা উপাদান, যা সংক্রমণ ঠেকাতে পারে। এ সময় ভাইরাস জ্বর হলে মেথির চা খেলে কাজে লাগবে। নিয়মিত মেথি খেলে সর্দি–কাশি পালায়।
যেভাবে ব্যবহার করবেন: লেবু ও মধুর সঙ্গে এক চা–চামচ মেথি মিশিয়ে খেলে জ্বর পালাবে। মেথিতে মিউকিল্যাগ নামের একটি উপাদান আছে, যা গলাব্যথা সারাতে পারে। অল্প পানিতে মেথি সেদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গড়গড়া করলে গলার সংক্রমণ দূর হয়।
পরামর্শ:
ভাইরাসজনিত জ্বর সাধারণত সেবা–যতœ ও সঠিক ভাবে খাওয়াদাওয়া করলেই সেরে যায়। তবে জ্বর বেশি হলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিৎ।
অতিরিক্ত শরীরচর্চা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর
তিরিক্ত শরীরচর্চার অভ্যাসও বিপদ ডেকে আনতে পারে। যেমন অতিরিক্ত শরীরচর্চার ফলে শরীরের পেশিগুলি দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। অতিরিক্ত শক্তি ক্ষয় হয়ে গিয়ে শরীর ক্লান্ত পয়ে পড়তে পারে।
অতিরিক্ত শরীরচর্চার ফলে হৃদযন্ত্রের পেশি ক্লান্ত পয়ে পড়তে পারে। বেড়ে যেতে পারে হার্ট–অ্যাটাকের ঝুঁকি। অনেক সময় দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে। ফলে শরীরে সংক্রমণের আশঙ্কাও বেড়ে যায়।
বেশি ব্যায়ামের ফলে আমাদের শরীরে অতিরিক্ত মাত্রায় অ্যাড্রিনালিন ক্ষরিত হয়। ফলে আমাদের মস্তিষ্ক উদ্দীপ্ত হয়ে ওঠে। এর ফলে সহজে ঘুম আসতে চায় না। তাই, ক্লান্তিও সহজে কাটতে চায় না।
অনেক সময় দ্রুত অতিরিক্ত মেদ ঝরানোর তাগিদে অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিম করার পাশাপাশি খাওয়া–দাওয়ার পরিমাণও কমিয়ে দেন। ফলে অপুষ্টি, অবসাদের মতো সমস্যা শরীরে, মনে বাসা বাঁধতে পারে। গোড়ালি, হাঁটু, কব্জি বা কনুইয়ের জয়েন্টগুলির হাড় ক্ষয়ে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অতিরিক্ত শরীরচর্চার ফলে মন, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যেতে পারে। ধীরে ধীরে অবসাদও বাড়তে পারে।