বিড়িকে কুটির শিল্প হিসেবে ঘোষণার দাবি

স্টাফ রিপোর্টারঃ>>>
গবেষণা ও উন্নয়ন কালেকটিভ (আরডিসি) এর সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেজবা কামাল বলেছেন, বিড়ি শিল্প আমাদের দেশের সবচেয়ে প্রাচীন শিল্প, হাজার বছর ধরে এ শিল্প চলে এসেছে এদেশে। এ শিল্পে কাজ করে প্রায় ২০ লাখ মানুষের জীবন অতিবাহিত হচ্ছে। তাই সময় এসেছে এ শিল্পকে কুটির শিল্পের মর্যাদা দেওয়ার।
রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যের সময় তিনি এ সব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরাও চাই ধুমপান মুক্ত সমাজ গডে উঠুক। কিন্তু যতদিন ধুমপান থাকবে ততোদিন বিড়ি থাকবে। ২০৪০ সালের মধ্যে সরকার বাংলাদেশকে ধুমপানমুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছেন। এজন্য স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে সরকারকে। বিড়ি শিল্প ২০ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান। বিকল্প কর্মসংস্থান না করে এই শিল্প বন্ধ হলে শ্রমিকরা কোথায় যাবে? কি করবে?
তিনি আরো বলেন, গত বাজেটে অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিড়ি শিল্পের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছিল। পরে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে কিছুটা কমানো হয়েছিল সেই শুল্ক । এরপরও যে শুল্ক আছে সেটা অনেক বেশি। ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো কোম্পানির সঙ্গে যোগসাজশ করে এটি করা হয়েছে। আসন্ন বাজেটে এই খাতে শুল্ক বাড়ানোর কোনো চিন্তা যাতে না করা হয়। উপরন্তু এই শিল্পকে কুটির শিল্প ঘোষণা করে শুল্কমুক্ত করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, ভারত সরকার এই শিল্পকে কুটির শিল্প হিসেবে ঘোষণা করেছে। ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়াতেও হাতে তৈরি বিড়িকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। বাংলাদেশকেও বিড়িকে কুটির শিল্প ঘোষণা করা উচিত। এই শিল্পকে শুল্কমুক্ত করা হলে লাভবান হবে ২০ লাখ শ্রমিক। কারণ এখন যে মজুরি তারা পান তা খুব সামান্য। এই শিল্পে জড়িত প্রায় ৭৫ ভাগ শ্রমিক নারী। তাদের কথা মাথায় রাখতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিড়ি শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এম. এ কে বাঙ্গালী। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক আ. রহমান, পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের সভাপতি হারিক হোসেন, নোয়াখালী জেলা বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কাশেম আলী সহ বরিশাল কারিগর বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি প্রণব চন্দ্র দেবনাথ।