সরকারি চাকরির আওতায় আসলেন ১০১০ কওমি আলেম

স্টাফ রিপোর্টারঃ>>>
কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ সনদ দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের সমমান প্রধান করায় প্রথমবারের মতো সরকারি চাকরিতে যোগ দিয়েছেন প্রায় এক হাজার ১০ জন কওমি আলেম।
মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৬ষ্ঠ পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত প্রায় এক হাজার ১১টি দারুল আরকাম মাদ্রাসা গুলোতে শিক্ষকতা করবেন এসব নিয়োগপ্রাপ্ত আলেমরা।
সোমবার এই আলেমদের হাতে সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেয়া হয়। এরপর বিকালে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মিলনায়তনে তাদের জন্য তিন দিনের একটি ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কওমি সনদের স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে আলেমদের দীর্ঘদিনের দাবি/স্বপ্ন পূরণ করেছেন।
কওমি সনদের স্বীকৃতি বাস্তবায়ন করার ফলে কওমি ভিত্তিক সনদপ্রাপ্তরা এখন থেকে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবেন বলেন মনে করছেন নিয়োগপ্রাপ্ত আলেমরা।
জিএস নিউজকে এক কওমি আলেম বলেন, ‘এতদিন আমরা কর্মক্ষেত্র নিয়ে অনিশ্চয়তায়, দুশ্চিন্তায় আর হতাশায় থাকতাম। আমরা লেখাপড়া করেছি কিন্তু তার কোন স্বীকৃতি ছিল না এদেশে। এখন স্বীকৃতির পাশাপাশি যোগ্যতা অনুসারে চাকরিও পেয়েছি আমরা।’
গত বছরের ১১ এপ্রিল মঙ্গলবার গণভবনে কওমি মাদ্রাসার আলেম-ওলামাদের সঙ্গে এক বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রীর। ওই বৈঠকে কওমি মাদ্রাসার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে এবং ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের মূলনীতিকে ভিত্তি করে কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ শিক্ষা সনদ দাওরায়ে-ই-হাদিসকে (স্নাতকোত্তর) স্বীকৃতি দেয়া হয়। একইসাথে সনদপ্রাপ্তদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দেয়ারও প্রতিশ্রতি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তখন বলা হয়, সরকারের কোনো প্রতিনিধি ছাড়াই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষগুলোর করা কমিটির অধীনে পরীক্ষা নিয়ে এই সনদ দেওয়া হবে। এই কমিটিতে কোনো সরকারি প্রতিনিধি থাকবেন না।
এরই ধারাবাহিকাতায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নিয়োগ দেয়া হয় কওমি আলেমদের। নিয়োগপত্র সই শেষে সবাই পত্রটি সানন্দে উচিয়ে ধরেন।