নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় আহত শাহীন বেপারী ও চলে গেলেন,মৃতের সংখ্যা ২৭

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় আহত শাহীন বেপারী মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি… রাজিউন)। হাসপাতালে বার্ন ইউনিটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় গতকাল তিনি বিকাল পৌনে ৫টায় মারা যান। ঢামেকের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ও আহতদের জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. সামন্ত লাল সেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শাহীন বেপারীর বয়স হয়েছিল ৪৩ বছর। মৃত্যুকালে তিনি মা, স্ত্রী ও এক কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গতকাল সকালের দিকে শাহীন বেপারীর শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি ঘটে।
পরে তাকে বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। ডা. সামন্ত লাল সেন জিএসনিউজকে বলেন, হঠাৎ তার অবস্থার অবনতি ঘটায় চিকিৎসকরা তাকে সর্বোচ্চ অবজারভেশনে রাখেন। বিকাল পৌনে ৫টায় তিনি মারা যান। গত ১৮ই মার্চ শাহীনকে দেশে আনার পর ঢামেকের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। ২১শে মার্চ প্রথম দফায় এবং ২৫শে মার্চ দ্বিতীয় দফায় তার অস্ত্রোপচার করা হয়। নিহতের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থানায়। থাকতেন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে। ১২ই মার্চ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে তিনি একাই গিয়েছিলেন নেপালে ঘুরতে।
তার আগে নেপাল থেকে শাহরিন আহমেদ, কামরুন্নাহার স্বর্ণা, মেহেদী হাসান, আলমুন নাহার অ্যানি ও রাশেদ রুবায়েত ঢাকায় ফেরেন। আহতদের জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, শাহীন বেপারীর শরীরের ১৬ শতাংশ বার্ন হয়েছিল। তার হাতে, পায়ে ও বুকে বার্ন ছিল। এদিকে গত রোববার রাত ১টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আহত কবির হোসেনকে সিঙ্গাপুর নেয়া হয়েছে। এই নিয়ে তিনজনকে সিঙ্গাপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেয়া হলো। ওই দুর্ঘটনায় আহত হন ১০ বাংলাদেশি। প্রথমে আহতদের নেপালের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের সাতজনকে ঢাকায় আনা হয়। প্রথমদিকে দুইজনকে নেয়া হয় সিঙ্গাপুর আর একজনকে ভারতে। দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭-এ।