ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ১ লাখ ৬ হাজার ৫৩৬টি মামলা হয়েছে

জিএস নিউজজিএস নিউজ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৫:০২ পিএম, ২০ জুন ২০১৮

স্টাফ রিপোর্টার:>>>

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মাদক বিরোধী জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে গত বছর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরসহ সকল সংস্থা ১ লাখ ৩২ হাজার ৮৮৩ জন ডোকার ব্যবসায়ীকে ১ লক্ষ৬ হাজার 536 টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এই বছর জানুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত ২৭ হাজার ৩৪০ টি মামলা ৩৫ হাজার ১১২ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনও এ বিষয়ে সহযোগিতা করে অবৈধ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখছে।

প্রধানমন্ত্রী আজ সংসদে তার জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য মোস্তফিজুর রহমান চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাব এ তথ্য জানানো হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গণতান্ত্রিক সরকার জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মাদক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নিরলসভাবে কাজ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে ডিসি পর্যায় সভা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইয়াবা ব্যবসায়ীদের হালনাগাদ তালিকা দ্বারা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়া কক্সবাজার জেলা ৯৪ জনবলের বিশেষ জোন স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বিদ্রোহের লায়ানজি অফিস স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে

শেখ হাসিনা বলেন, ইয়াবাশসহ অন্যান্যরা মাদক প্রবাহ রোধকল্পে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে স্ট্রাটেজিক কমিটি, সচিব, নিরাপত্তা সেবা বিভাগ এনফোর্সমেন্ট কমিটি এবং সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের আহ্বায়ক ও মাদক বিরোধী সচেতনতা সৃষ্টি এবং সামাজিক আন্দোলন সম্পর্কিত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাদক বিরোধী গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাদক বিরোধী কমিটি গঠন, আলোচনা সভা ও সেমিনার অনুষ্ঠান পাশাপাশি মাদক বিরোধী পোস্টার, লিফলেট, স্টিকার, স্যুনি প্রকাশ এবং বিতরণ কাজ চলছে।

তিনি বলেন, মাদক অপরাধীদের কঠোর শাস্তি প্রদান লক্ষ্যবস্তু, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের, ১৯৯০

শেখ হাসিনা বলেন, মাদক সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ে নিয়মিত ফলপ্রসূ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পাশাপাশি ইয়াবা পাচার রোধে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে তিনটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি সভা মায়ানমারকে ইয়াবার উৎপাদন ও প্রবাহ বন্ধ করার জন্য এবং মায়ানমার সীমান্তে অবস্থিত ইয়াবা তৈরির কারখানা সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

বর্তমানে চলমান উল্লেখযোগ্য মাদক বিরোধী কর্মকাণ্ডের ফলে মাদকদ্রব্যের চোরাচালান ও তার ব্যবহার বন্ধ করা হয়েছে। যুব সমাজকে সামাজিক অবক্ষয় থেকে হাত রক্ষা করা সম্ভব হবো বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।

আপনার মতামত লিখুন :