পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন হবে

জিএস ডেস্ক:>>>
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নির্ধারিত সময়ে রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হবে।
রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট প্রথম কংক্রিট ঢালাই উপলক্ষ আজকের দিনে তিনি এ কথা বলেছিলেন।
শেখপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট প্রথম কংক্রিট ঢালাই উপলক্ষে শেখ হাসিনা বলেন, শুধুমাত্র সাত মাস আগে, ২০১৭ সালের নভেম্বর, প্রথম ইউনিটের প্রথম কংক্রিট ঢালাই শুরু করা হয়েছে। তিনি ইউনিট নির্মাণ কাজ অনেক দূরে অগ্রগামী। প্রথমে শুরু হল দ্বিতীয় ইউনিট নির্মাণ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করি, নির্ধারিত সময়ে রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হব।’
তিনি বলেন, পরমাণু বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের স্বপ্নযাত্রার শুরু ১৯৬১ ইন। তৎকালীন পাকিস্তান সরকার বিমাতাসুলভ আচরণে এ অঙ্কুরে বিনষ্ট হয়। স্বাধীনতার পর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করলেও তাঁর অকাল মৃত্যুতে এটি স্তimিত হয়ে যায়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ২০০৯ সালে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে বঙ্গবন্ধু সে উদ্যোগ পুনরুজ্জীবিত করেছি। দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা বৃদ্ধির মহাপরিকল্পনা নেওয়াি রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ সে মহাপরিকল্পনার অংশ ২০২৩-২৪ সাল নাগাদ এ কেন্দ্রের দোহাই ইউনিট থেকে মোট ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমাদের জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। ‘
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার গাইডলাইন অক্ষর অক্ষর পালন করা, পরমাণু নিরাপত্তা এবং বিকিরণ নিয়ন্ত্রণ সবচেয়ে নতুন ব্যবস্থা সংবলিত প্রযুক্তি তৈরি হচ্ছে এ কেন্দ্র।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা আমাদের নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সম্প্রতি উন্নয়নশীল দেশ মর্যাদা উন্নীত হয়েছে আমি আশা করি, রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সরকার রূপকল্প ২০ ৪১ বাস্তবায়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ‘
তিনি রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সার্বিক সফলতা কামনা করতেন।