আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সুখবর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

জিএস ডেস্ক:>>>
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রীদের নয়টি দাবিতে মেনে নিতে বলেছিলেন নিহত ছাত্রদের দিয়া খানম বাবা বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। আন্দোলনকারী ছাত্রীদের দাবি-
২। বেপরোয়া গতিতে ড্রাইভিং ড্রাইভারকে ফাঁস দিতে হবে এবং এই আইন সংবিধান সংযোজন করতে হবে। ২। নৌপরিবেশী মন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার করা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যহীনভাবে ক্ষমাপ্রার্থী প্রয়োজন। ৩। ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় চলাচল বন্ধ এবং লাইসেন্স ছাড়া চালকরা গাড়ি চালনা করতে পারবে না ৪। বাসে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে যাবে না 5। শিক্ষার্থীদের চলাচলে এমইএস ফুটওয়ারব্রিজ বা বিকল্প নিরাপদ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ৬। প্রতিটি সড়কে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় স্পিডবার্কে দেওয়া হবে ৭। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীদের দায়ী সরকারকে নিতে হবে ৪। শিক্ষার্থীদের বাস থামানো সিক্রেট দ্যল থামো তাদের নিতে হবে ৯। শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া করা ব্যবস্থা করা হবে।
প্রসঙ্গত, রবিবার বিকালে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই ছাত্র নিহত। বাসচাপায় আহত আরো ১৩ জন এর মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যায়। একজন একর নাম আবদুল করিম, তিনি শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়তেন। নিহত অপরজন একই কলেজের আরেক ছাত্রী দিয়া খানম ওরফে মম তিনি একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, ঘটনাস্থল পাশে শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজ। ঘটনাক্রমে ঐ কলেজ ছাত্রদের রেডিসন ব্লু হোটেলের পাশে রাস্তা পার্কে হচ্ছিল। অনেকে বাসের জন্য পাটকেটে দাঁড়িয়ে আছে
এ সময় জব্বাল নূর পরিবহনের একটি বাস এলে ছাত্ররা সেখানে ঢুকে পড়ল। এ সময় জব্বাল নূর পরিবহনের আরেকটি বাস বাম পাশে ঢাকার ছাত্রদের চাপা দিয়ে দিল। এতে ছাত্রলীগের দুই ছাত্র নিহত খবর পেয়ে প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ছাত্রীরা এসে সড়কের অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে এবং বেশ কয়েকটি বাস ভাঙচুর করে। পরে বিপুলসংখ্যক পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।