ঈদুল আযহার গুরুত্ব পূর্ণ নির্দেশনায় অগ্রিম “ঈদ মোবারক”

স্টাফ রির্পোটার:>>>
বারবার ফিরে আসে ‘ইদ’ঈদ আরবি শব্দ আসলে এর অর্থতা হচ্ছে ফিরে আসার এই দিনটি ঈদ বলা হয়, এটি জন্য যে মানুষ বারবার একত্রিত হয় এবং সজীবতার জন্য যার যার উপার্জন সঙ্গে সঙ্গে আনন্দ উৎসব করা হয়। বলা যায়, একের অন্য প্রতি হিংসা বিদ্রতা ভুলে তাই ইদেক দ্বারাই মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাকে নিয়ামত বা অনুগ্রহে ধন্য করেছেন।
বারংবারে তার ইশসনের নৈতিক শিক্ষা প্রদান এক কথায় বলা যায়, মহান আল্লাহ পাক মুসলিম উম্মাদের প্রতি নিয়ামত হিসাবেই ঈদ দান করেছেন। হাদিসে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনাতে আগমনের সময় সেখানে মদিনা বাসীর ২ টি দিবস ছিল, সে দিবসে তারা কেবল খেলা করত।
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গুরুত্বের সাথে জিজ্ঞাসা করেছেন যে দুইদিনের অর্থটি কি? মদিনাবাসীরা উত্তর দিয়েছেন: আমরা জাহেলী যুগে এই দুই দিনে খেলা ক্যাটাতাম তারপর তিনি বলেন: ‘আল্লাহ রাববুল আলমিন এত এই দুই দিন পরিবর্তে আপনার চেয়ে ভাল দুটি দিন দিয়েছেন।
তাওহীদ মুসলিম উম্মার ঈদুল আজহা ও ইদুল ফিতর। ‘সুতরাং কেবল ক্রীড়া ও আমোদ-ফুর্তির জন্য যিদু’তে দিনটি ছিল মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে পরিবর্তিত করে দিয়েছিলেন। তাই ঈদ দিবসে মহান আল্লাহর শুকরিয়া, জিকির এবং তার কাছেই ক্ষমা প্রার্থনার সঙ্গে সঙ্গে সুনন্দা আমোদ-ফুর্তি, নিজস্ব সাজ-সজ্জা বা খাওয়া-দাওয়া ব্যতিরেকে সকলের সন্মন্ধা গ্রহণ করা। বিদেহ ওয়ান নিহায়াহ পুস্তকে তা ইবনে জারীর রাদি আল্লাহু আনহুর বহু বর্ণনায় উঠে এসেছে। দ্বিতীয় হিজরিতে প্রথম ইদী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
ইসলাম ধর্মাবলম্বী জনসাধারণের বড় দুইটি ধর্মীয় উৎসবে একটি ঈদ হয় ঈদুল আযহা।
এ দেশে এ উৎসব আবার ‘কুরবানী’ ঈদ নামক সর্বজনীন চিনে। ঈদুল আযহা মূলত আরবী বাক্যাংশ এর মানে হল ত্যাগের উৎসব এর মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ত্যাগ করা এই দিনটিতে মুসলমানরা তাদের সম্ভাব্য ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী উট, গরু, দুম্বা বা ছাগল কোরবানী বা জবাই দিয়ে থাকে।
এই ঈদুল আজহারের দিন ঈদ সালাত আগে কিছু না খেয়ে সালাত আদায় পর পর কুরবানী দিয়ে মাশত খাওয়াটাই সুনানেত। বুরাইদা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতরের দিন না খেয়ে ঈদগাহে যাতেন না, আবার ঈদুল আযহারের দিনে ঈদ সালাত আগে খেতেন না।
আসলে যখন ইদ শব্দে মানুষ প্রথম বুঝতে শেখে তখন তাদের সন্তান কাল থাকে এবং এ সময় তারা বড়দের উৎসাহে ১ ম ঈদ আনন্দ উপভোগ করে। তারা সারা রাত না ঘুমিয়েই খুব ভোরে নতুন সুগন্ধি সাবান দিয়ে ধৌত করা, কেন না তাদের অন্য দিন এতো ভোরবেলা বসলন করা হয় না ।
এরপর ঈদের নামাজের জন্য তারা আতোর, সুরামা এবং নতুন নতুন জামাকাপড় পরে বাবা ভাইদের সাথে সাথে প্রতিবেশীদের সাথে ঈদগাহে যাত। তবে ঈদগাহে যে পরিবেশটি হয়ে উঠবে সেটিই মূলত ঈদুল আযহার। পায়ে হেঁটে যাওয়া বা আসার মজাই আলাদা জানা গেছে, আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর বর্ণনাটি মতে সুন্নাত হল ঈদগাহে পায়ে হাঁটতে যাতাযাত করা। তাই উভয় পথের মানুষদের সালাম দেওয়া এবং ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করা ভালো হয়। উদাহরণস্বরূপ, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদগাহে একটি পথের পাশে অন্য পথে ফিরে এসেছিলেন।
ঈদুল আযহার তাত্পর্য হল ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন বর্ণনা যা পাওয়া যায় তা হল, মহান আল্লাহ তায়ালা ইসলাম ধর্মেরই একজন নবী হযরত ইব্রাহীম (আঃ) কে স্বপ্নে তাঁর সবচেয়ে প্রিয় বস্তুকে কুরবানী নির্দেশ দিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি এক আদেশ অমান্য করে হযরত ইব্রাহিম (আ।) তাঁর সবচেয়ে প্রিয় পুত্র ইসমাইলকে কুরবানী করার জন্য প্রস্তুত করেছিলেন কিন্তু তাঁর সৃষ্টিকর্তা তাকে এভাবে বাধা দিয়েছিলেন এবং পুত্রকে বদলে দেওয়ার জন্য কুরবানীর নির্দেশ দিয়েছেন। এই ঘটনাকে স্মরণ করেই বিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বীগণ আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য প্রতি বছর এই দিবস পালন করে। হিজরী এলার্জি হিসাবে জিলহজজ মাসের দশ তারিখ থেকে শুরু ১২ তারিখ পর্যন্ত ৩ দিন ধরেই ঈদুল আযহা চলবে হিজরী চন্দ্রের গণনা অ্যানুয়েসি “ঈদুল ফিতর” এবং ঈদুল আযহারের মাঝে দু’মাসের মধ্যে ১০ দিনের ব্যবধান থাকে। দিনের হিসাবে যা বেশিরভাগ ৭০ দিন হতে পারে।
ইসলাম ধর্মে যার জাকাত দেয়ার ক্ষমতা আছে তার উপর ঈদুল আযহা উপলক্ষে পশু কুরবানী করাটি ওয়াজীব। ঈদুল আযহার দিবস থেকে শুরু করে যেন পরবর্তী দুই দিন পশু কুরবানির জন্য নির্ধারিত হয়। বাংলাদেশের মুসলিমরা সাধারণত গরু বা খাসি কোরবানী দিয়ে থাকে। এক ব্যক্তি একমাত্র গরু, মহিষ বা খাসি কুরবানী করতে পারে। তবে গরু এবং মহিষের ক্ষেত্রে সর্বচ্চে ৭ ভাগ কুরবানী করা যায়, অর্থাৎ দুই, তিন, পাঁচ বা সাত জন ব্যক্তি একটি গরু, মহিষ শুদ্ধ হ’ল ক্ষতি না। তাই এ দেশে সাধারণত কুরবানির মংস তিন ভাগ ভাগ করে ১ ভাগ গরিব-দরিদ্রদের মধ্যে ১ ভাগ আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে এবং এক ভাগ নিজের জন্য খাওয়া উচিত, কিন্তু ইসলামের আলোকে জানা যায়, এই ঈদের মাংস বিভাটার করার জন্য কোন প্রকার স্পষ্ট নির্দেশনা নির্ধারিত নেই।
এগুলি কুরবানির পাশুর চামড়া বিক্রির অর্থ গুলো দান করা হ’ল নির্দেশের মধ্যে রয়েছে। কোন মুসাফির বা ভ্রমণকারীর উপর কুরবানী করা ওয়াজিব নয়। আবার ঈদুল আযহার ঈদের নামাজ আগেই ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের পশু কুরবানী সঠিক হয় না জানা যায় যে, শুকনো প্রাণী খাসি বা ছাগলের বয়স কমপক্ষে১ বছর এবং ২ বছর বয়স হতে হয় গরু বা মহিষের বয়স। নিজ হাতে কুরবানী করাটাই উত্তম এই কুরবানী প্রাণীটি দক্ষিণ দিকের কিব্লা মুখী করা খুব ধারালো অস্ত্র দ্বারা অনেক আত্মপ্রচলিত মুখ উচ্চারিত ‘বিসমিল্লাহ আল্লাই আকবরের’ বলে জবীন করাই ইসলাম ধর্মের বিধান।