তরুণ ভোটাররা চান ক্লিন ইমেজের ও উদ্যমী প্রার্থী
স্টাফ রিপোর্টার: >>>
তিশ্রুতিতে ক্ষান্ত নয়, সেই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চায় বরিশালের নতুন ভোটাররা। তারা বলছেন, নির্বাচন এলেই নানা কাজ করে দেয়া থেকে শুরু করে মাদকমুক্ত এলাকা করার ঘোষণা দিয়ে থাকেন প্রার্থীরা। তবে নির্বাচন শেষ হয়ে গেলে নির্বাচিত প্রার্থী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ করেন না।
তাই এবারে অধিকাংশ নতুন ভোটারের সিদ্ধান্ত কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী প্রার্থীকেই ভোট দেবেন তারা। সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল জেলার ৬টি সংসদীয় আসনে পূর্বে ভোটার সংখ্যা ছিল ১৫ লাখ ২৯ হাজার ২৬৪টি, কিন্তু এবারে ভোটার সংখ্যা ১৭ লাখ ৭৮ হাজার ৫৮৫ জন।
বরিশাল জেলায় এবার নতুন ভোটার রয়েছে ২ লাখ ৪৯ হাজার ৩২১ জন। বরিশালে প্রার্থীদের গণসংযোগ চলাকালে দেখা দেছে, প্রার্থীরা এলাকার উন্নয়নে নিজেদের ভূমিকা ও নির্বাচিত হলে কী কী করবেন তা ভোটারদের কাছে ব্যক্ত করছেন। জানাচ্ছেন নির্বাচিত হলে তারা এলাকার জন্য কী করবেন। তবে প্রার্থীদের এই প্রতিশ্রুতিতে ভরসা নেই নতুন ও তরুণ ভোটারদের।
বরিশাল নগরীর বিএম কলেজ এলাকার বাসিন্দা ও নতুন ভোটার সেফাতুল ইসলাম আলিফ বলেন, ‘নির্বাচন এলেই প্রার্থীদের ছড়াছড়ি দেখে আসছি ছোটবেলা থেকেই। কিন্তু আসলে নির্বাচন কী সেটা বুঝতে শুরু করেছি কয়েক বছর ধরে। আমি যোগ্য প্রার্থীকেই ভোট দেব।
যিনি বরিশালের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন তাকে ভোট দেয়ার সিদ্ধান্তই নিয়েছি। তিনি যে দলেরই হোক না কেন, আমরা উন্নয়ন চাই। বরিশাল-৫ আসনে সড়কের বেহাল দশা থেকে উত্তরণ দরকার। প্রয়োজন বেকার সমস্যা নিরসনেরও। তাই সমস্যা নিরসনে যিনি কাজ করার যোগ্য তাকেই ভোট দেব।
জাকারিয়া খান নয়ন নামে বাকেরগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা ও নতুন ভোটার জানান, বাকেরগঞ্জের কী অবস্থা সেটা বরিশালের সবাই জানেন। নির্বাচনের সময় প্রার্থীদের দেখা যায়। আর সারা বছর কোনো খোঁজই থাকে না। এমনকি এখানকার এমপিকেও দেখা যায় না। তিনিও নির্বাচন করছেন। প্রার্থীরা অনেক প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
অনেক উঠোন বৈঠকেও প্রার্থীরা নানা কথা বলছেন। কিন্তু সত্য কথা হল, আমরা কাজের মানুষ চাই। যিনি বাকেরগঞ্জের জন্য কাজ করবেন। নিজের জন্য নয়। একটি উপজেলা নিয়ে এই বরিশাল ৬ আসন। অনেক আসনে তিনটি উপজেলাও রয়েছে।
সেই সব উপজেলার উন্নয়ন হচ্ছে। তবে আমাদের এক উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনটিতে উন্নয়নের কোনো ছোঁয়াই লাগেনি। মাটির রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়।



