ভিসা চুক্তি হবে ৩২ দেশের সঙ্গে
অনলাইন ডেস্ক:>>>
দেশের ৩১ জেলায় ৩৪টি বিভাগীয় ও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নির্মাণ করা হয়েছে। ৩৩ জেলায় ৩৩টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের জনবল ৩৯৭ থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ১৮৪ জনে উন্নীত করা হয়েছে। ঢাকার উত্তরায় নতুন পার্সোনাইলেজশন কমপ্লেক্সের কাজ চলছে। ওই সেন্টার থেকে পাসপোর্ট প্রিন্ট করে দেশের ভেতরে পাসপোর্ট ইস্যুকারী অফিসগুলোতে এবং বিদেশের বাংলাদেশ মিশনগুলোতে পাঠানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ সচিবালয় এবং ঢাকা সেনানিবাসসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে চারটি পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র করা হয়েছে। বহির্গমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ে পার্সোনাইলেজশন সেন্টার, ডাটা সেন্টার এবং ডিজাস্টার রিকভারি সেন্টার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অতিরিক্ত ছয়টি ভিসা সেল এবং ৯টি ইমিগ্রেশন চেক পোস্টে বহির্গমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের জনবল বাড়ানো হয়েছে। ২০১০ সাল থেকে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ও মেশিন রিডেবল ভিসা (এমআরভি) প্রদান করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ৬৭ জন বিদেশি নাগরিক বৈবাহিক ও বাংলাদেশের জন্য বিশেষ অবদান রাখায় বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেয়েছেন। ১৩ হাজার ৪০৫ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে দ্বৈত নাগরিকত্বের সনদ দেওয়া হয়েছে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের নাগরিকত্বের অধিকারকে সুসংহত করার জন্য নাগরিকত্ব সংক্রান্ত আইন, বিধি, পরিপত্র ইত্যাদি সংশোধনক্রমে বাংলাদেশ নাগরিকত্ব আইন ২০১৫ খসড়া তৈরি করা হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে বৈধভাবে থাকার অধিকার নেই এমন বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর প্রণয়ন করা হয়েছে। ২০১৫ থেকে জুন ২০১৮ পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ থেকে ১২ হাজার ৯৯৭ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হায়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এ সরকার সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। বহির্গমন ও পাসপোর্ট অধিদফতর এমআরপি ও এমআরভি শীর্ষক প্রকল্পটি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সফলভাবে শেষ হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে এ যাবত ৩২ লাখ ৩০ হাজার এমআরপি এবং এক লাখ ২৪ হাজার এমআরভি ইস্যু করা হয়েছে। এতে ১৩ হাজার ২১৫ কোটি ৩৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকা আয় হয়েছে। ই-পাসপোর্ট প্রবর্তনসহ ই-গেইট স্থাপনের মাধ্যমে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম আরও গতিশীল করা হয়েছে।



