সারাদেশে সেনাবাহিনীর টহল, চলছে অভিযান

জিএস নিউজ ডেক্সঃ>>>
একদিন পরেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি তৎপরতা দেখা গেছে ঢাকার রাস্তাঘাটগুলোতে। এছাড়া ভোটকেন্দ্রগুলোতেও শুরু হয়েছে পূর্ব প্রস্তুতি।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় টহল ও যানবাহনে তল্লাশি করছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শুক্রবার ছুটির দিনে গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
শুক্রবার প্রথমবারের মতো রাজধানীতে সেনাবাহিনীর চেকপোস্ট দেখা গেছে। সকালে বাংলামোটর এলাকায় প্রাইভেটকার থেকে শুরু করে সব ব্যক্তিগত গাড়ির মালামাল তল্লাশি করে সেনা সদস্যরা। প্রায় দুই ঘণ্টার ওপরে চলে এ অভিযান।
রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা বিমানবন্দর, খিলক্ষেত, গুলশান বনানী, মহাখালিসহ বাড্ডা রামপুরা এলাকায় পুলিশ-র্যাবের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও টহল দিতে দেখা গেছে।
সেনা সদস্যদের পাশাপাশি বিভিন্ন সড়কে বিজিবি সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। ভোটের একদিন আগে যেকোনও ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সতর্ক অবস্থান রয়েছেন তারা।
রাজধানীর উত্তরা র্যাব-১ এর কার্যালয় থেকে র্যাবের টহল শুরু হয়েছে। গুলশান আব্দুল্লাহপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে তাদের চেকপোস্ট তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে আব্দুল্লাহপুর থেকে মহাখালী, খিলক্ষেত থেকে রামপুরা ও মহাখালি থেকে সাতরাস্তা হয়ে বিজয় সরণির প্রায় প্রতিটি জায়গাতেই পুলিশ সদস্যদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনে দেখা গেছে।
রাজধানীর কূটনৈতিক এলাকা গুলশানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটি গাড়ি তল্লাশির আওতায় আনা হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য এলাকাতেও চেকপোস্ট তল্লাশির পাশাপাশি ফুট পেট্রোল, ভেহিকেল পেট্রোল ও মোবাইল পেট্রোল বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে কেউ যাতে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করতে না পারে সেজন্য সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি চলছে।
রাজধানীর রাস্তাঘাটগুলো এখনো পোস্টার-ব্যানারে সয়লাব থাকলেও শেষ হয়েছে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা। ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটের সরঞ্জাম না পৌঁছালেও চলছে পূর্বপ্রস্তুতি। সবকিছু ঠিক থাকলে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আশা করেছেন রাজধানীর ভোটাররা।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ উপ-কমিশনার (ডিবি উত্তর) মশিউর রহমান বলেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, বিস্ফোরক, নাশকতাকারী, গুজব সৃষ্টিকারীসহ বিভিন্ন অপরাধীদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। সাইবার টিম কাজ করছে। আগের চেয়ে কাজের চাপ বেড়েছে। সবকিছুই করা হচ্ছে আগামী নির্বাচনে যাতে কেউ নাশকতা করতে না পারে। এরইমধ্যে সম্ভাব্য নাশকতা হতে পারে এমন স্থানের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ওইসব স্থানে নজরদারি বৃদ্ধিসহ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। নাশকতাকারী যেই হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ১৬টি আসন রয়েছে। রাজধানীসহ সারাদেশে সকাল আটটায় শেষ হয়েছে প্রার্থীদের প্রচার ও গণসংযোগ। ভোট গ্রহণের আগে ও পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি না ঘটে সেজন্য নির্বাচন কমিশন র্যাব, পুলিশ, আনসার মোতায়েনের পাশাপাশি বিজিবি নামানো হয়েছে। এরপরও অধিক নিরাপত্তার স্বার্থে ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করেছে নির্বাচন কমিশন।