এখন আমি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারের মা: প্রধানমন্ত্রী

জিএস নিউজ ডেস্কজিএস নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৫:০৪ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

নিউস ডেস্ক:>>>

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি বাংলা সাহিত্যের ছাত্রী হলেও এখন আমি একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারের মা। এ দেশে কম্পিউটারের ব্যবহার বাড়াতে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে আমার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় আমাকে সহযোগিতা করেছে।

মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এন আর বি ইঞ্জিনিয়ার্সদের দু’দিনব্যাপী কনভেনশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেশে কম্পিউটারের ব্যবহার বাড়ানো প্রসঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ই আর ডি’র ভারপ্রাপ্ত সচিব মনোয়ার আহমেদ। এছাড়া অন্যদের মাঝে জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী ও কনভেনশনের আহ্বায়ক আজাদুল হক বক্তব্য রাখেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগ অফিসে একটি কম্পিউটার কিনেছিলাম, তখন ওই কম্পিউটারে খরচ পড়েছিল ৩ লাখ টাকা। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় থাকাকালে কম্পিউটারের ব্যবহার বাড়ানোর জন্য নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে ১০ হাজার কম্পিউটার ক্রয়ের বিষয়ে একটি চুক্তি হয়েছিল। তারা অর্ধেক খরচে আমাদের কম্পিউটার দিতে চাইলেন। কিন্তু ইতোমধ্যে ক্ষমতার পরিবর্তন হলো।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার কাছে কে যেন বলেছে, এটা নেদারল্যান্ডসের টিউলিপ কোম্পানি থেকে কেনা। ওই কোম্পানি শেখ রেহানার মেয়ের নামে- এ কথা শুনে খালেদা জিয়া প্রকল্পটি বাতিল করে দেন। ফলে আমাদের অনেক অর্থও লোকসান হয়েছে। এছাড়া তারা (বিএনপি) সাবমেরিন ক্যাবলের সংযোগ থেকেও বাংলাদেশকে বঞ্চিত করেছে। প্রযুক্তি সম্পর্কে না জানার কারণে বাংলাদেশকে তারা বারবার পিছিয়ে দিয়েছে।

অনাবাসী বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কখনো ব্রেন ড্রেন কথাটি বলিনি। আমি বলেছি, বিদেশে গেলে জ্ঞান অর্জন হয় আর সেই জ্ঞানটা একটা সময় দেশের কাজে আসেই।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যদি বিশ্বকে না দেখি, বিভিন্ন দেশে না যাই তাহলে আমরা বিশ্বকে জানবো কি করে? বিশ্বের অন্য স্থানে কোথায় কী হচ্ছে? কীভাবে উন্নয়ন হচ্ছে? সেটাও জানা এবং জ্ঞান অর্জনের বিষয়। সেই জ্ঞান অর্জনের সুযোগটা আপনারা অর্জন করেছেন।’

প্রকৌশলীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে আপনারা বাংলাদেশের উন্নয়নে শরিক হতে চান, কাজে লাগাতে চান আপনাদের সেই অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা। আমি আপনাদেরকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

আপনার মতামত লিখুন :