’হাওরের মহামান্য’ !

জিএস নিউজ ডেস্কঃ>>>>
হাওরের ‘মহামান্য’। এ নামেই সবাই সম্বোধন করেন তাকে। ব্যক্তিত্ব, আচরণ ও জনকল্যাণে হাওরবাসীর মনে ‘মহামান্য’ নামেই তার সদর্প উপস্থিতি। আপামর জনসাধারণের মাথা নুইয়ে আসে তার প্রতি শ্রদ্ধায়।
হাওরের প্রতিটি বাঁকই তার চেনা। এখানকার সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে তিনিই শিখিয়েছেন মাথা উঁচু করে বাঁচতে। মুঠো মুঠো উন্নয়নে বদলে দিয়েছেন হাওরের চেহারা।
ফেলে আসা শৈশবে হাওরের বুকে টানা ১৩ ঘণ্টা সাঁতার কেটেছেন। ভোট রাজনীতিতে ‘অপরাজেয়’ এ মানুষটিকে ভাটির লোকেরাই নাম দিয়েছেন ‘ভাটির শার্দুল’।
এখানকার মানুষের বুক উজাড় করা ভালোবাসায় তিনি কৃষকের সন্তান থেকে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত। তিনি রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ।
দলমত নির্বিশেষে হাওরের মানুষের কাছে তিনি শ্রদ্ধেয়, একান্ত আপনজন। সাধারণ জীবন যাপনে অভ্যস্ত জীবন্ত এক কিংবদন্তি।
সম্প্রতি কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইন হাওরের দুর্গম বুক চষে বেড়িয়ে তাকে নিয়ে হাওরবাসীর এমন সম্বোধন ও অকৃত্রিম ভালবাসার গল্প শোনা গেছে।
রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের জন্মস্থান হাওর অধ্যুষিত জনপদ মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামে। সময়টা ১৯৪৪ সালের পহেলা জানুয়ারি। পড়াশুনার হাতেখড়ি এখানকার স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ১৯৬৯ সালে কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল কলেজ থেকে বিএ পাস করেন।
ওই সময়টাতেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে তার অভিষেক ঘটে। ১৯৬৩ সালে কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল কলেজের ছাত্র সংসদের জিএস এবং ঠিক দু’বছরের মাথায় ভিপি নির্বাচিত হন।
১৯৬৪ সালে কিশোরগঞ্জ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হন। ১৯৬৬ সালে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৯ সালে যোগ দেন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘদিন কারান্তরীণ ছিলেন তিনি।
১৯৭৫ সালে ঢাকা ল’ কলেজ থেকে এলএলবি পাস করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন অগ্নিসংগ্রামী হিসেবেও তার রয়েছে গৌরবগাঁথা ইতিহাস।
১৯৭০’র ঐতিহাসিক নির্বাচনে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন আব্দুল হামিদ। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাননি।
১৯৭৩ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে ২০০৮ সালের নির্বাচন পর্যন্তও ভোটে তিনি ছিলেন অপরাজেয়। জিতেছেন ’৭৯, ’৮৬, ’৯১, ’৯৬, ’২০০১ সালের নির্বাচনেও।
সপ্তম সংসদে ডেপুটি স্পিকার, নবম সংসদে বিরোধী দলের উপ-নেতার দায়িত্ব পালন করেন দক্ষতার সঙ্গে। ছিলেন মহান জাতীয় সংসদের স্পিকারও। নিরপেক্ষতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে দীর্ঘদিন এ দায়িত্ব পালন করেছেন