দুর্বল হয়ে সাধারণ ঝড়ে রূপ নিয়েছে ফনি

MD Aminul IslamMD Aminul Islam
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০১:২৬ পিএম, ০৪ মে ২০১৯

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী ভারতের ওড়িশ্যায় আঘাত করার পর পশ্চিমবঙ্গ পেরিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে সকালে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশে প্রবেশ করার পর অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ফনি দুর্বল হয়ে এখন কেবল সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ।

শনিবার (৪ মে) আগারগাঁওয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ঝড়টি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়বে। তবে এটি বাংলাদেশের স্থলভাগে ঘূর্ণিঝড় আকারে অবস্থান করছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে জানান হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফনি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড় আকারে শনিবার সকাল ৬টায় সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনা অঞ্চল এবং এদের পাশ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করছিল।

সংবাদ সম্মেলনের সময় ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রস্থল ছিল চুয়াডাঙ্গা, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, ঢাকা ও টাঙ্গাইলে। ঝড়টি যশোর, সাতক্ষীরা ও খুলনা অঞ্চলে সকাল ৬ টা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার বেগে এগোচ্ছিল।

এটি বাংলাদেশের ওপর দিয়ে আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে এবং সারাদেশে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিমির মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিমি, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ছয় নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর ছয় নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৪ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

জিএসনিউজ/এমএইচএম/এমএআই

আপনার মতামত লিখুন :