থামছে না ঢাকামুখী মানুষের ঢল

বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকসহ নানা পেশাজীবীরা ঢাকায় আসার হিড়িক পড়েছে। দূরপাল্লার বাস ও গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও ভেঙে ভেঙে বিভিন্ন যানবাহনে করে ঢাকায় ফিরছে দেশের নানা প্রান্তের মানুষ। মোটরসাইকেল, ব্যক্তিগত গাড়ির পাশাপাশি রিকশা, ভ্যান এমনকি পায়ে হেঁটেও রাজধানীতে আসছেন তারা। রাজধানীর গাবতলী, আব্দুল্লাহপুর, সায়েদাবাদসহ সব পথেই রয়েছে তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের তৎপরতা। মানুষের বাড়তি চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।
গাবতলী ব্রীজের ওপর গাড়ির লম্বা লাইন দেখে যে কেউই ভাবতে পারেন ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীতে ফিরছেন মানুষ। কিন্তু বাস্তবতা হলো ঢাকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকলেও তা অমান্য করে এভাবেই ঢাকায় ঢুকছেন তারা।
সরকারি অফিস না খুললেও গার্মেন্টস ও বেসরকারি কিছু প্রতিষ্ঠান খুলে যাওয়ায় গত কয়েকদিন ধরেই ঢাকামুখী মানুষের চাপ বেড়েছে বহুগুণ। দূরপাল্লার বাস ও গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও ভেঙে ভেঙে বিভিন্ন যানবাহন এমনকি পায়ে হেটেও রাজধানীতে আসছেন অনেকে। যারা আসছেন বরাবরের মতোই দিচ্ছেন নানা অজুহাত।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, নির্দেশনা অনুযায়ী সবারই পরিচয়পত্র চেক করা হচ্ছে। তবে সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ির পাশাপাশি সিএনজি, মোটরসাইকেলের এত চাপ, যে সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না। জরুরি সেবার বাইরে অনেককে ট্রাফিক আইনে মামলাও করা হচ্ছে।
করোনার সংক্রমণ রোধে ৫ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত জরুরি সেবাসংশ্লিষ্ট ছাড়া অন্য কারো ঢাকায় প্রবেশ ও ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলো পুলিশ। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকার কথা থাকলেও গার্মেন্টস খোলার সিদ্ধান্ত আসার পর খুব দ্রুতই পাল্টাতে থাকে চিত্র।
জিএসনিউজ/এমএইচএম/এএএন