হজযাত্রী ফেরার তথ্য দিচ্ছে না এজেন্সি গুলো

GS News 24GS News 24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০১:৪০ পিএম, ২৮ নভেম্বর ২০১৭

২০১৭ সালের হজযাত্রীদের কতজন সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন এবং কতজন ফেরেননি তার হিসাব চেয়েও পায়নি ধর্ম মন্ত্রণালয়। প্রতিবছর হজের নামে মানবপাচারের অভিযোগ পাওয়া যায়। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই সম্প্রতি এই হিসাব চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা আমলে নেয়নি কোনও হজ এজেন্সি। মন্ত্রণালয় ও হজ অফিস থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এ নিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আনিছুর রহমান বলেন, ‘হিসাব না দিলে এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছরই কিছু এজেন্সির বিরুদ্ধে সৌদি আরব থেকে হজযাত্রী ফেরত না আনার অভিযোগ পাওয়া যায়। হজের নাম করে তারা সৌদি আরবে গিয়ে আর ফেরেন না। মানবপাচারের অভিযোগে এর আগে অনেক এজেন্সির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। তবু মানবপাচারের অভিযোগ থেমে যায়নি। সে কারণেই হজ এজেন্সিগুলোর কাছ থেকে হিসাব চাওয়া হয়েছে।

মন্ত্রণালয় জানতে চেয়েছে, কোন এজেন্সি কতজন হজযাত্রী পাঠিয়েছে এবং হজ শেষে তাদের কতজন ফেরত এনেছে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে ওমরার নামে পাঠানো ১১ হাজার ওমরাযাত্রী দেশে ফেরত না আসায় ২০১৫ সাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ওমরা ভিসা বন্ধ করে দেয় সৌদি আরব। পরে সৌদি আরবের দেওয়া শর্ত অনুযায়ী হাব (হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) নেতাসহ সংশ্লিষ্ট সব এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে ফের ওমরা ভিসা চালু করে দেশটি।

এ ঘটনার পর ২০১৫ সালে আবার হজের সময় মানবপাচারের অভিযোগ ওঠে। মোয়াল্লেম ফি জমা না দিয়েই রিপ্লেসের নামে ১৫ হাজার হজপ্রত্যাশীর নামে ও বেনামে নিবন্ধন সম্পন্ন করে একটি সিন্ডিকেট। পরে পরিস্থিতি সামাল দেয় মন্ত্রণালয়।

গত ১৫ অক্টোবর এজেন্সিগুলোকে তথ্য জানানোর জন্য নির্দেশনা দেয় হজ অফিস। হজ পরিচালক সাইফুল ইসলামের সই করা ওই আদেশে বলা হয়, ২০১৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হজে কোন এজেন্সির মাধ্যমে কতজন হাজযাত্রীকে সৌদি আরবে পাঠানো হয়েছে এবং কতজনকে ফেরত আনা হয়েছে, তার তথ্য হজ অফিসকে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হলো। নির্ধারিত ছকে তথ্য পাঠাতে সময় বেঁধে দেওয়া হয় গত ১২ নভেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু সোমবার (২৭ নভেম্বর) বিকালে হজ অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোনও এজেন্সিই তথ্য পাঠায়নি।

হজ পরিচালক সাইফুল ইসলাম  বলেন, ‘কোনও এজেন্সি এখনও আমাদের কাছে কোনও তথ্য পাঠায়নি। আবার তাদের কাছ থেকে তথ্য চাওয়া হবে। এরপরও তারা কোনও তথ্য না দিলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে মন্ত্রণালয়।’

আপনার মতামত লিখুন :