দেশের প্রথম ও একমাত্র ৬ লেনের ফ্লাইওভার উদ্বোধন আগামীকাল

আগামীকাল বৃহস্পতিবার ফেনী শহরের মহিপালে দেশের প্রথম ও একমাত্র ৬ লেনের ফ্লাইওভার উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই ফ্লাইওভার উদ্বোধন করবেন।
সম্প্রতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ফ্লাইওভারের কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, এই ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ের ছয় মাস আগেই সম্পন্ন হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ১ এপ্রিল প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। মূল দৈর্ঘ্য ৬৬০ মিটার, প্রস্থ ২৪ দশমিক ৬২ মিটার, সার্ভিস রোডের দৈর্ঘ্য এক হাজার ৩৭০ মিটার, সার্ভিস রোডের প্রস্থ ৭ দশমিক ৫ মিটার, সংযোগ সড়কের দৈর্ঘ্য এক হাজার ১৬০ মিটার, ১১টি স্প্যান, ফুটপাথের দৈর্ঘ্য দুই হাজার ২১০ মিটার, পিসি গার্ডার ১৩২টি।
ওবায়দুল কাদের জানান, মহিপাল ফ্লাইওভার ছয় লেনের হলেও সেতুর নিচের দুই পাশে আরও চারটি সার্ভিস লেন চালু থাকবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট মহিপালে ১০ লেন সেতুই হচ্ছে। এই প্রকল্পে মোট ব্যয় হয়েছে ১৮১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন বিভাগ ও মেসার্স আবদুল মোনেম লিমিটড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
ফেনী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজ আহম্মদ চৌধুরী জানান, মহিপালে ৬ লেনের ফ্লাইওভারটি বর্তমান সরকারের একটি যুগান্তকারী কাজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশব্যাপী যে উন্নয়য়মূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন এটি তার অন্যতম কাজ। ফেনীবাসী তাঁর এই কাজে দারুণ খুশি, তারা উন্নয়নের এই নেত্রীকে অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন।
আজিজ আহম্মদ চৌধুরী বলেন, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে আমরা ফেনীর মানুষই মনে করি, তিনিও ফেনীকে তেমনই ভালোবাসেন, তাই বার-বার ছুটে আসেন ফেনীর উন্নয়নে।
ফ্লাইওভার নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের আন্তরিকতা কথা তুলে ধরার পাশাপাশি তিনি বলেন, মহিপালের প্রবেশপথ চাঁড়িপুর রাস্তার মাথা থেকে মহাসড়কের ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ অফিস পর্যন্ত নির্মিত এই ফ্লাইওভারটির কাজের মান বেশ উন্নত। তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কের সংযোগস্থল মহিপালে বৃহৎ এ ফ্লাইওভার চালু হওয়ার পরে মহাসড়কে যানজট অনেকাংশে কমে যাবে। এতে শুধু যোগাযোগব্যবস্থাই নয়, ফেনীর ব্যবসা-বাণিজ্যেও উন্নয়নের দ্বার খুলবে।