বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তির বিজয়

জিএস নিউজ ডেস্কজিএস নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ১০:১২ এএম, ০২ জুলাই ২০১৭

মোস্তাফা জব্বার:>>>

২৮ জুন ১৭ বাংলার স্বর্ণকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাজেট আলোচনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো ১৭-১৮ সালের বাজেট বক্তৃতা। এরপর অর্থমন্ত্রী বাজেট নিয়ে তার বক্তব্য পেশ করেন। মূলত প্রধানমন্ত্রী বা সংসদ নেতার আলোচনার পরে বাজেটের আলাপচারিতার আর কিছুই থাকে না। আমরা তবুও দেখলাম অর্থ বিল পাস হবার সময় পরোক্ষে বাজেট নিয়েই আলোচনা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চালের ওপর থেকে কর হ্রাস, আবগারী শুল্কের হার কমানো এবং ভ্যাট আইন বলবৎ করার সময়সীমা দুই বছর পেছানোর সিদ্ধান্ত নেবার ফলে বাজেট নিয়ে সমালোচনা করার আর কোন উপায়ই থাকলো না।

এবারের বাজেট আলোচনার অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিলো যে, সরকারি দলের কিছু সাংসদ অর্থমন্ত্রীকে কেবল সমালোচনাই করেননি, ব্যক্তিগত আক্রমণও করেছেন। জাতীয় পার্টির সাংসদ জিয়াউদ্দিন বাবলু কেবল অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ নয়, অপরাধমূলক মামলাও করতে বলেছেন। ৮৬ বছর বয়স্ক একজন মানুষকে এভাবে আক্রমণ করার কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকতে পারেনা। আওয়ামী লীগেরও কিছু সাংসদ পরোক্ষে এক ধরনের অতিরিক্ত ও অপ্রিয় এবং অসংসদীয় শব্দ প্রয়োগ করেছেন। জিয়াউদ্দিন বাবলুর সমালোচনাকে সেইভাবে না দেখলেও শেখ সেলিম একেবারে কোন ধরনের চিন্তা ভাবনা ছাড়া তার দলের সবচেয়ে সিনিয়র সাংসদ ও মন্ত্রীর সমালোচনা যেভাবে করেন সেটি পর্যালোচনার দাবি রাখে। অন্যদিকে মাহবুবুল আলম হানিফও যখন অর্থমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করেন তখন তাকে একেবারেই সাধারণ ঘটনা বলে মনে করা যায় না। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাংসদদের সিনিয়র অংশটি অর্থমন্ত্রীর পক্ষে যথাযথ অবস্থান নিয়েছেন। আমি ঠিক জানিনা কেন সমালোচকগণ এটি ভুলে গেলেন যে অর্থমন্ত্রী সরকারের পক্ষে বাজেট পেশ করেছেন। তার বাজেট প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছেন। তিনি স্বেচ্ছাচারীভাবে বাজেট পেশ করেননি। সেটি তিনি করতেও পারেন না। যে ভ্যাট নিয়ে এতো সমালোচনা সেটিও সরকারেরই ইচ্ছা।

 

প্রধানমন্ত্রী সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে ভ্যাট আইনটি এই সংসদেই ২০১২ সালে সাংসদদের দ্বারা পাস করানো হয়েছে। তখন কেউ তেমন কোন উচ্চবাচ্য করেননি। যে আবগারী শুল্ক নিয়ে সংসদ ও ফেসবুকসহ সকল মিডিয়া উতলা হলো সেটিও সরকারেরই ইচ্ছায় বাজেটে ঢুকেছে। এটিও বোধহয় আমাদের বোঝা দরকার যে, একজন অর্থমন্ত্রীকে কেবল তখনই সফল বলা হয় যখন তিনি দেশের অর্থনীতিকে সামনে নিতে পারেন। আমার মনে হয় না দেশে এমন কেউ আছেন যিনি ২০০৯ থেকে ১৭ পর্যন্ত দেশের অর্থনীতির সফলতার কথা স্বীকার করবেন। তেমন একজন অর্থমন্ত্রীকে আক্রমণ করাটা মোটেই সুস্থির বুদ্ধির কাজ নয়। এমনকি বাজেটের মূল স্পিরিট না বুঝে কেবল একটি দুটি বিষয় নিয়ে চিৎকার করাটাও বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক নয়। তবে সমালোচনার মুখে ছিপি এটে প্রধানমন্ত্রী বাজেটকে জনবান্ধব করেছেন সেটিও আমাদের উপলব্ধি করতে হবে। বাজেট আলোচনা করতে গিয়ে সংসদে বিরোধী দলীয় নেত্রী যে ভয়ংকর অবস্থান নিয়েছেন সেটি শঙ্কার বিষয়। তিনি লেখাপড়ার উন্নতির কথা বলতে গিয়ে রাত এগারোটার পর থেকে ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ ও ভাইবার নিষিদ্ধ করার দাবি করেন। আমি ভেবে পাইনা এমন একজন বিরোধী দলীয় নেত্রী দেশটার ডিজিটাল রূপান্তরের কোন ধারণা পোষণ করেন। শিক্ষার মান বাড়ানোর জন্য যেখানে প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতে ইন্টারনেট দেয়া দরকার সেখানে তিনি ছেলেমেয়েদের হাত থেকে ইন্টারনেট কেড়ে নেবার দাবি তুললেন।

 

ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য রেকর্ড পরিমাণ বরাদ্দ: আসুন দেখি এবার ডিজিটাল বাংলাদেশ এর বাজেট কেমন অবস্থায় রয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের জন্য ৮ হাজার ৩০৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিলো অর্থবাজেটে যা মোট বাজেটের ২.৪৪ শতাংশ ছিলো। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে এ খাতের জন্য বরাদ্দ ছিলো ৬ হাজার ১০৭ কোটি টাকা। সে হিসেবে বিদায়ী অর্থ বছরে বাড়তি দুই হাজার কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ পেয়েছিলো এ খাতটি। ২০১৭-১৮ সালে আগের বছরের ৮ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ ১১ হাজার কোটি টাকায় ওঠেছে। বাজেটের আকার বাড়ার সাথে তুলনা করলে এই অংকটি আরও বড় হতে পারতো। অন্যদিকে আগের অর্থবছরের তুলনায় বিদায়ী অর্থবছরে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের জন্য ৬২২ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিলো। এই খাতে বিদায়ী বছরে আইসিটি ডিভিশনের জন্য এক হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিলো। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল এক হাজার ২১০ কোটি টাকা। এই বছর তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বরাদ্দ বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। এবার বরাদ্দ ৩৯৭৪ কোটি টাকা। এটি উল্লেখ না করলেও চলে যে এই পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ এই খাতে আর কখনও হবার প্রশ্নই নেই। ভাবা যায়, ৭২-৭৩ সালের বাজেট চার লক্ষাধিক কোটি টাকায় আর তথ্যপ্রযুক্তির ১৭৪ কোটি টাকা ৩৯৭৪ কোটি টাকায় ওঠে যেতে পারে।

 

স্মরণ করতে পারি যে, বাজেট পেশ করার আগে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের বাজেটের কিছু আকাক্ষার কথা তুলে ধরেছিলাম। একটি ব্যতিক্রমের কথা বলতেই হবে যে, আমাদের এই প্রচেষ্টায় সর্বাত্মক সহযোগিতা ছিলো তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের। প্রসঙ্গত আমি এই বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলক এবং এলআইসিটির শামির কথা অবশ্যই এখানে উল্লেখ করতে চাই।

আমদানিকারক থেকে উৎপাদক: ২০১৭-১৮ সালের বাজেটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে কম্পিউটারের যন্ত্রপাতির শুল্ক ও ভ্যাট কাঠামোতে পরিবর্তন। এই বাজেটে ডিজিটাল যন্ত্র যেমন ল্যাপটপ, ট্যাব ও স্মার্টফোন সংযোজন এবং উৎপাদন করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল যন্ত্রপাতি ও কাঁচামালের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করে মাত্র এক শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এটি দেশের ডিজিটাল যন্ত্র উৎপাদনে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে। আমরা এখন আশা করতেই পারি যে, দেশে স্মার্ট ফোন, ট্যাব এবং ল্যাপটপ সংযোজিত হবে বা এমনকি উৎপাদিতও হবে। গত ৬ আগস্ট ২০১৫ অনুষ্ঠিত ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স এর সভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে ডিজিটাল যন্ত্র উৎপাদন ও রপ্তানির যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সেটি এখন বাস্তবে রূপায়িত হবার সময় হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছাপূরণে সরকারি প্রতিষ্ঠান টেশিস এখন দেশের সর্ববৃহৎ ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদকে পরিণত হতে পারে।

 

প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা অনুসারে আমি এই সংস্থার দায়িত্বে থাকলে অন্তত এই কাজটি এবার করতে পারতাম। এবার এই সুযোগ দেবার ফলে সামনের বাজেটের আগেই আমরা দেশে কয়েকটি দেশীয় ব্রান্ডের ডিজিটাল যন্ত্র উৎপাদন ও সংযোজন হতে দেখার পাশাপাশি বিদেশী ডিজিটাল যন্ত্র নির্মাতাদেরকে এদেশে কারখানা স্থাপনে উৎসাহিত হতে দেখব। এজন্য হাইটেক পার্কের সুবিধার ক্ষেত্রে একটি নতুন ধারা যুক্ত করা যেতে পারে। বর্তমানে হাইটেক পার্কগুলোর সুবিধা হচ্ছে কেবল রপ্তানির জন্য। ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদনের ক্ষেত্রে এই সুবিধাকে দেশীয় বাজারের জন্যও সম্প্রসারিত করা যেতে পারে। মনে রাখা দরকার যে, দেশীয় বাজারে ডিজিটাল ডিভাইস বাজারজাতকরণ বস্তুত আমদানি বিকল্প এবং এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রাও বাঁচবে। এবারের বাজেটে শুল্কহ্রাসের ক্ষেত্রে কিছু সফটওয়্যারের দামও কমানো হয়েছে। কিন্তু একটি মজার বিষয় হলো সিডিতে সফটওয়্যার আনলে সেই সুবিধা পাওয়া যাবে অথচ অনলাইনে আনা হলে সেই সুবিধা পাওয়া যাবে না এমন একটি বিধান এখনও বিরাজিত আছে। বড় অদ্ভুত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এমন মানসিকতা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে সিডি আর অনলাইন যে এক সেই ব্যাপারটি অবশ্যই বুঝতে হবে।

 

২০২৪ পর্যন্ত আয়কর অব্যাহতি: আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করি যে সরকার আমাদের সফটওয়্যার ও সেবাখাতকে ২০২৪ পর্যন্ত আয়কর অব্যাহতি দিয়ে রেখেছেন। এবারের বাজেটে সেটি অব্যাহত রয়েছে। তবে বাজেটের আগে আমরা এই অব্যাহতির ক্ষেত্রে কিছু সংশোধনী প্রস্তাব পেশ করেছিলাম। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সেইসব প্রস্তাব মেনে নিয়েছিলো। আমরা আইনটি এনেবল সেবার পরিধিটাকে সম্প্রসারিত করার যে প্রস্তাব দিয়েছিলাম সেটি যদি বাস্তবায়িত হয়ে থাকে তবে আমাদের এই্ খাতের অগ্রগতি আরও দ্রুত হবে। প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে এই অব্যাহতি পাবার জন্য প্রত্যয়ন পত্র সংগ্রহের যে যন্ত্রণাদায়ক প্রক্রিয়া ছিলো সেটি নাকি তুলে নেয়া হয়েছে। এর ফলে আমাদের জীবনযাপন আরও সহজ হবে।

 

খুচরা ভ্যাট: বাজেট পেশ করার পরও আমাদের মাঝে এই ভয়টি ছিলো যে ভ্যাট আইন ১২ বাস্তবায়নের সময় কম্পিউটারের ওপর খুচরা ভ্যাট থাকবে কিনা। নানা কাগজপত্র ঘাটাঘাটি করে আমরা খুচরা পর্যায়ে আমদানিকৃত পণ্যের ভ্যাট অব্যাহতির খবরটি জানতে পারি। কিন্তু যন্ত্রাংশ আমদানী বা উৎপাদন করার পর সেটি খুচরা পর্যায়ে বিক্রি করার সময় তাতে ভ্যাট আরোপ করা হবে কিনা সেটি নিয়ে বিভ্রান্তি ছিলো। এর মাঝে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর এসআরও ১৩৬ এর সাথে ১৩১ কে যুক্ত না করার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, আইসটি ডিভিশন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে কথা বলে এই বিষয়ে সুফল পেলাম। বাজেট সমাপনী ভাষণে অর্থমন্ত্রী ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণা প্রদান করেন।

 

ইন্টারনেটের ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক রয়েই গেল: বিদ্যমান শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক ও ভ্যাটের চাপে দেশে ইন্টারনেটের কানেকশন এর সংখ্যা বাড়লেও প্রকৃত ব্যবহার বাড়েনি। ইন্টারনেট মানে এখন ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, ভাইবার, হোয়াটস অ্যাপ ও ইমো। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। ইন্টারনেটের বাড়তি মূল্য ও গতিহীনতা এর অন্যতম কারণ। ফলে এবারও আমরা ইন্টারনেটকে শুল্ক ও ভ্যাট মুক্ত করার দাবি জানিয়েছিলাম। এই দাবিটি আমাদের অনেক পুরানো। আমার কেন জানি মনে হয় রাজস্ব আহরণ করার সহজ উপায় হিসেবে এনবিআর টেলিকমকে কোন ছাড় দিতে আগ্রহী নয় এবং তারা ইন্টারনেট সভ্যতার মূল বিষয়টিই উপলব্ধি করতে চান না। আমি নিজে মনে করি ইন্টারনেটের প্রতি এই অবিচার করাটা ডিজিটাল বাংলাদেশ বান্ধব নয়। ভয়েস কলের জন্য যাই থাকুক ইন্টারনেট বা ডাটাসেবাকে ভয়েস কলের চাইতে আলাদা করতে হবে। ইন্টারনেটের সম্পূরক শুল্ক ও ভ্যাট ছাড়াও ইন্টারনেটের কিছু যন্ত্রপাতি যেমন মডেম, রাউটার ইত্যাটির শুল্ক কাঠামো আমাদের ইন্টারনেট প্রসারের অনুকূল নয়। আমি আশা করবো অর্থমন্ত্রী বিষয়টি আবারও ভাববেন। অন্যদিকে ই-কমার্সের ওপর কর্পোরেট ট্যাক্স, ভেঞ্চার ক্যাপিটালের ওপর দ্বৈত কর ইত্যাদিও বিবেচনা করতে হবে।

 

রপ্তানি প্রণোদনা: আমরা দাবি করে আসছিলাম যে কম্পিউটারের সফটওয়্যার সেবা এবং যন্ত্রপাতি রপ্তানির জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নগদ সহায়তা প্রদান করা হোক। ১৯ অক্টোবর ১৬ ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমি সেই দাবি জানাই। গত ১৫ জুন ১৭ অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বিষয়ক সভায় আমার সেই দাবি মেনে নেয়া হয়। ১৭-১৮ অর্থ বছরে এই খাতে শতকরা ১০ ভাগ রপ্তানি সহায়তা দেয়া হবে বলে আমরা রপ্তানিতে বড় ধরনের সফলতা প্রত্যাশা করতে পারি।

লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, কলামিস্ট, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যার-এর জনক।

আপনার মতামত লিখুন :