তুরস্কের ঐতিহাসিক গণভোটে অগ্নি পরীক্ষার মুখোমুখি এরদোগান

অনেক সুবিশাল মসজিদের মতোই ইস্তাম্বুলের সর্বোচ্চ পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থান করছেন তুকি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। তার সমর্থকদের আশা রবিবারের গণভোট হচ্ছে তুরস্কের পুনর্নির্মাণে এরদোগানের কর্মজীবনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ একটি মুহূর্ত।
এই গণভোটে লক্ষ লক্ষ তার্কি ভোটার সিদ্ধান্ত নিবে তারা সংসদীয় গণতন্ত্রের পরিবর্তে সর্বময় ক্ষমতা দিয়ে প্রেসিডেন্সি পদ্ধতি প্রতিস্থাপন করবেন কিনা।
প্রায় এক শত বছর আগে অটোমান সাম্রাজ্যের ধ্বংসস্তূপ থেকে আধুনিক তুরস্ক প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এই নির্বাচন দেশটির শাসন পদ্ধতিতে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
ন্যাটোর সামরিক জোটের দুটি মুসলিম সদস্যদের একটি হচ্ছে তুরস্ক। এছাড়াও দেশটি বিশ্বের বিভিন্ন বিষয়াবলির অন্যতম কেন্দ্রস্থল। সাম্প্রতিক সময়ে এসব বিষয় আরো বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এরমধ্য গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি হচ্ছে সিরিয়া ও ইরাকে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, ইউরোপের অভিবাসী সংকট এবং মস্কো ও ওয়াশিংটনের সঙ্গে আঙ্কারার পরিবর্তিত সম্পর্ক।
গণভোটের প্রচারণাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্য দেশটির ৮০ মিলিয়ন জনগণ বিভক্ত হয়ে গেছে। এই বিভাজন ইউরোপে বৃহৎ তুর্কি প্রবাসীদের মধ্যও ছড়িয়ে পরেছে।
নিরাপত্তার অজুহাতে ইউরোপীয় দেশগুলোতে প্রচারণা নিষিদ্ধ করায় এরদোগান ইউরোপীয় নেতাদের কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি তাদের এই কর্মকে নাৎসিবাদের সঙ্গে তুলনা করেন।
অন্যদিকে তার বিদেশি বিরোধীরা বলছেন তারা এব্যাপারে সতর্ক পর্যবেক্ষণ করছেন।
এরদোগানের সমর্থকেরা তার এই প্রচেষ্টাকে তুরস্কের পুনর্নির্মাণে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। তারা মনে করছেন এরদোগানকে ক্ষমতা দেয়া হলে তিনি জনজীবনে ইসলামি মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনাসহ, ধর্মনিষ্ঠ কর্ম পরিবেশ তৈরি এবং বিমানবন্দর, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ ইত্যাদি বিষয়ে সামগ্রিক উন্নয়ন করতে সক্ষম হবেন।