লিটন হত্যাকে ভিন্ন খাতে নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী,অভিযোগ করেছে বিএনপি।

নিজস্ব প্রতিবেদক : গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যাকাণ্ডের তদন্তকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে উদ্যোগী বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৃহস্পতিবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন।
“আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে, তার (লিটন) পরিবার থেকে কথা উঠে এসেছে, তার দলের লোকও জড়িত থাকতে পারে।”
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নে শাহাবাজ গ্রামে গত ৩১ ডিসেম্বর বাড়িতে ঢুকে লিটনকে হত্যা করে চলে যায় কয়েক দুর্বৃত্ত।
বুধবার গণভবনে এক দলীয় সভায় লিটন হত্যাকাণ্ডের জন্য সরাসরি জামায়াতে ইসলামীকে দায়ী করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “সে (লিটন) জামাতের বিরুদ্ধে সবসময় ছিল। এমনকি গোলাম আযম ওখানে মিটিং করতে চেয়েছিল, সেই মিটিং ও (লিটন) করতে দেয়নি, বাধা দিয়েছিল।
“সেই থেকে জামাতের একটা ক্ষোভ ওর উপর ছিল। ওকে বেশ কয়েকবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। আর অবশেষে তারা সেই হত্যাকাণ্ডটা ঘটাল।”
“প্রধানমন্ত্রীর প্রাক উক্তির আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে এই ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত ও অপরাধীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসার জোর দাবি জানাচ্ছি।”
এই হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো খুনি শনাক্ত হয়নি। এই ঘটনায় করা হত্যা মামলায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার দেখানো করা হয়নি।
হত্যাকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগ নেতারা শুরু থেকেই জামায়াতকে দায়ী করে এলেও দলটি তা অস্বীকার করে বলছে, প্রকৃত খুনিদের আড়াল করতে তাদের উপর দোষ চাপানো হচ্ছে।
লিটনের বোনেরা সব বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে তদন্তের আহ্বান জানালেও তার স্ত্রী গাইবান্ধা মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী সৈয়দা খুরশিদ জাহান স্মৃতিও জামায়াতকেই দায়ী করেছেন।