অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়ে চোরাই স্মার্টফোন বিক্রি!

জিএস নিউজজিএস নিউজ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৫:২৩ পিএম, ২৪ জুন ২০১৮

স্টাফ রিপোর্টার: >>>

অনলাইন বিভিন্ন ওয়েবসাইট বিজ্ঞাপন প্রচার করে চোরাই মোবাইল ফোন বিক্রি করে অভিযোগ দায়ের ফেসবুক বিভিন্ন পেজ খোলে বা গ্রুপ তৈরি চুরি স্মার্টফোন বা বিভিন্ন পণ্য বিক্রির অভিযোগ আছে। তবে আরো অভিযোগ ক্লাসিফায়ড (শ্রেণিভিত্তিক) মার্কেটপ্লেসস বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এই মার্কেটপ্লেসে রীতিমতো বিজ্ঞাপন প্রকাশ ক্রেতাদের আকৃষ্ট করা হয়।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে এই মার্কেটপ্লেস বিক্রি করা চোরাই মোবাইল ফোন চুরি হয়ে অন্যান্য জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। বিক্রয় ডটকম নাম একটি মার্কেটপ্লেস বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপিত, ওয়েবসাইটটি চুরি স্মার্টফোনের বিক্রি হয়। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিক্রয় ডটকম বিক্রি করা হয়েছে এমন একটি চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে। যদিও বিক্রয় ডটকম কর্তৃপক্ষ দাবি করেন, তারা এ ধরনের কোন অভিযোগ পাননি।

বেশ কয়েকদিন ধরে অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়ে চোরাই মোবাইল ফোন বিক্রির ঘটনা ঘটছে। একটি চক্র এই চোরাই মোবাইল সেট বিক্রয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস বিক্রয় ডটকম বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় বলে পুলিশ বুরো অফ ইনভেসিগেশন (পিবিআই)। একটি ব্যবহারকারীর অভিযোগ ভিত্তিক একটি চোরাই মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয় এই তথ্য জানতে পুলিশ পুলিশ তদন্ত সংস্থা।

পিবিআই এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো। আতিকুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ভিত্তিক ভিত্তিতে গত ২৭ মার্চ একটি চোরাই মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। বিক্রয় ডটকম বিজ্ঞাপন দিয়ে সেই ফোনটি বিক্রি করা হয়েছিল। মোবাইল সেটটি উদ্ধার করা হয়েছে ২8 মার্চ এর মালিক মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ‘তবে তিনি এ বিষয়ে কাউকে আটক করতে পারেন বলে জানান তিনি।

জানা গেছে, গত ১২ মার্চ রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার গনভবনের সামনে থেকে ইশতিয়াক ইমন নামের এক মোবাইল ফোন হারিয়ে গেছে। শাওমী নোট 4 মডেলের হ্যান্ডসেট হারানোর পর ১৫ মার্চ শেরেবাংলা নগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) তিনি জানান। জিডি ভিত্তিতে ভিত্তি করে তদন্ত ২৭ মার্চ মোবাইল সেটটি উদ্ধার করা হয়েছে পিবিআই।

পিবিআই বাংলা ট্রিবিউনকে জানানো হয়েছে, একটি জিডি ভিত্তিক হারানো মোবাইল সেটের সন্ধান শুরু হয়েছে। সেটের আইএমইআই নম্বরের সহায়তায় হারিয়ে যাওয়া সেটের ব্যবহারকারীর লোকেশন এবং নম্বরের কল ডিটেল রেকর্ড (সিডিআর) বের করা হয়। পরে ব্যবহারকারীটি জানানো হয়, তার কেনা মোবাইল চোরাই

এএসপি আতিকুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সে সেটটি কে পরে কিনেছে চোরাই সেটার সম্পর্কে জানানোর পরে তিনি পিবিআই সদর দফতরে এসে ফিরে আসেন। বিক্রয় ডটকম এ বিজ্ঞাপন দেখে ১২ হাজার টাকায় ফোন কেনেন তিনি কিন্তু তার জানা আছে না এটি চোরাই সেট। এ প্রসঙ্গে তাকে অভিযোগ বলা হয়েছে। ‘

অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়ে চোরাই মোবাইল ফোন বিক্রি করে চক্রকে গ্রেফতার করার জন্য পিবিআই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান এএসপি আতিকুর।

ভুট্টোভী ইশতিয়াক ইমমন পেশায় গণমাধ্যম কর্মী তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘১২ মার্চ আমার মোবাইল ফোন হারিয়ে গেছে 15 মার্চ একটি জিডি কর। পরে এর একটি কপি সঙ্গে পিবিআই যোগাযোগ করুন। পরে পিবিআই ফোন উদ্ধার করে আমাকে জানায় পরে পিবিআই সদর দফতর থেকে সেটটি নিয়ে এসেছি। ‘

বিক্রয় ডটকমের বিপণন ও বিক্রয় বিভাগের প্রধান ঈশতা শারমিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা সাধারণত এ ধরনের অভিযোগ পাচ্ছি না। আর যে নির্দিষ্ট অভিযোগের কথা বলছে সে অভিযোগও আমাদের কাছে আসেননি। ‘

তবে ঈশিতা শারমিন উল্লেখ করেছেন, অনেক আগে তারা এ ধরনের অভিযোগ পান। সেই অভিজ্ঞতার আলোতে তারা (বিক্রয় ডটকম) বিজ্ঞাপন প্রকাশে স্বচ্ছতার উপর আরো জোর দেওয়া হয়েছে। তার দাবি, তাদের একটি বড় টিম আছে তাদের কাজ যে যে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন চেক করে শতভাগ নিশ্চিত হতে পারে তবে এটি প্রকাশ করা ওয়েবসাইট প্রকাশ করা হবে। কয়েকটি পদ্ধতিতে তারা কাজটি করেছেন বলে তিনি বলেন।

জানা গেছে, মার্কেটপ্লেসে রয়েছে দুটি ধরনের। একটি ই কমার্সভিত্তিক অনলাইন মার্কেটপ্লেস। অন্যটি ক্লাসিফায়ড (শ্রেণীভুক্ত) মার্কেটপ্লেস। ক্লাসিফায়ড মার্কেটপ্লেস বিপরীত হিসাবে জারি এই মার্কেটপ্লেসে সরাসরি বিনামূল্যে এবং টাকার বিনিময়ে স্মার্টফোন সহ বিভিন্ন পণ্য বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়। যদিও ক্লাসিফায়ড মার্কেটপ্লেস কর্তৃপক্ষ এটি বিজ্ঞাপন অনুমোদন দিলেই প্রকাশিত হবে। চোরাকারবারিরা এই সুযোগ গ্রহণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন।

পুলিশ অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) বিভিন্ন সময়ে এ ধরনের অভিযোগ পেয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। তার প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, বিক্রয় ডটকমের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে আরও। অভিযোগসমূহ বন্ধ হয়ে গেছে এখানে ডটকমের বিরুদ্ধেও এছাড়াও অনেক ভুয়েফোদের অনলাইন চোরাই স্মার্টফোন বিক্রির অভিযোগ তারা পেয়েছেন বলে তিনি বলেন। সঠিক নাম-ঠিকানা না থাকায় অনেক সময় ওয়েবসাইটগুলি কে পরিচালনা করে তা খুঁজে না পাওয়াকে চিহ্নিত করা কঠিন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ই-কমার্সভিতিক অনলাইন মার্কেটপ্লেস আজকের ডিলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ফাহিম মাশরুর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের মার্কেটপ্লেস, তবে আমাদের ওয়েবসাইটে নতুন স্মার্টফোন এবং অন্যান্য পণ্য বিক্রি হয়। সরাসরি মার্চেন্টরা (ব্যবসায়ীরা) আমাদের পণ্য দিয়ে থাকেন। তারপর এটি যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

আজকের ডিলের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ইন্টারনেটে কিছু ক্লাসিফায়ড ওয়েবসাইট যেখানে স্মার্টফোন সহ অন্যান্য জিনিসপত্র বিক্রি হয়। কয়েকটি বিরুদ্ধে চোরাই স্মার্টফোনে সহ অন্যান্য জিনিসপত্র বিক্রির অভিযোগ আছে। তার ভাষ্য, ‘ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপ তৈরি চুরি জিনিসপত্র বিক্রির অভিযোগ পুরোপুরি পুরানো। একক সময় একক গ্রুপ নির্মাণের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি হয়। এখান থেকে পণ্য বাজেয়াপ্ত হলে বা কোনও সমস্যা হলে ভুক্তভোগীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলিতে উল্লিখিত হয়। তখন মিডিয়ায় সংবাদ ছাপা হয় কিন্তু কয়েকদিন পরে পুরানো নিয়ম এই ধরনের কাজ আবার চলতে থাকে।

আপনার মতামত লিখুন :