বন্ধ করে দেওয়া হবে জনপ্রিয় ভিডিও অ্যাপ টিকটক!

স্টাফ রির্পোটারঃ>>>>
ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের মতোই এই সময়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে টিকটক অ্যাপ। বিভিন্ন গান, বিখ্যাত সিনেমার সংলাপসহ নানান রকম মজাদার অডিও’র সঙ্গে ঠোঁট মিলিয়ে ছোট ভিডিও তৈরি করে আপলোড করা যায়। অ্যাপটি বিশাল জনগোষ্ঠীর দেশ ভারতে বেশ জনপ্রিয়। ২০১৮ সালে দেশটিতে সব থেকে বেশি ডাউনলোড করা অ্যাপগুলির মধ্যে প্রথম দিকেই রয়েছে টিকটক।
বিভিন্ন সিনেমার জনপ্রিয় গানের একাংশ,ঠোঁট মিলিয়ে ভিডিওতে কোনো খারাপ উক্তি তৈরির এই অ্যাপ নিয়ে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি দেশে সমালোচনা ঝড় উঠেছে।
অ্যাপের কারণে আমাদের নতুন প্রজন্মের বেড়ে উঠা হুমকির মুখে পড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপের কারণে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে অশ্লীল কন্টেন্ট ও ব্যঙ্গাত্মক ভিডিও। এর ফলে মানুষের মধ্যে এক ধরনের অসুস্থ মানসিকতা তৈরি হয়। তারা স্বাভাবিক কথা কেউও ব্যঙ্গ করে বলে। এছাড়া এসব একসময় বদভ্যাসে পরিণত হয়।
টিকটক বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, শুধু টিকটক নয় দেশীয় সংস্কৃতির জন্য হুমকি রয়েছে এমন সব ধরনের সাইট আমরা বন্ধ করে দিতে চাই।
তিনি বলেন, আমি ইন্টারনেটকে নিরাপদ করতে চাই। আমার দেশ ইউরোপ না আমেরিকা না আমার দেশে বাংলাদেশ। তাই এ দেশের মানুষ, সমাজ, সাহিত্য, সংস্কৃতি সঙ্গে যায় না এমন কোনো কিছুকেই আমি রাখতে চাই না।
এসব সাইট বন্ধ করলে আবার খোলা হয়, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খোলা হলে বন্ধ করে দেব। যতবার খোলা হবে ততবার বন্ধ করে দেব। মানুষের জীবন ও মান ও দেশের জন্য ক্ষতিকর এসব সাইট বন্ধে কতটুকু সফল হব জানি না। তবে আমি আমার সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে এই দায়িত্ব পালন করে যাব। আমি আমার দেশ, মাটি ও মাকে বাঁচাতে চাই।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপ টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞার দাবি উঠেছে ভারতে।এমনকি কয়েকজন আইনজীবী এই অ্যাপের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদনও করেছেন।
তাঁদের দাবি, এসব ভিডিও সমাজে অপসংস্কৃতি ছড়াচ্ছে। অল্প বয়সের ছেলে-মেয়েরা টিকটকে আসক্ত হয়ে পড়ছেন। এবং সারাদিন মোবাইলের দিকে তাক করেই বসে রয়েছেন।
আইনজীবীদের আবেদনে একমত হয়ে মঙ্গলবার ভারতের তামিলনাড়ুর বিধানসভায় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী এম মন্দিকন্দন জানিয়েছেন, টিকটক বন্ধ করার জন্য কেন্দ্রের কাছে সাহায্য চাইবে তামিলনাড়ু সরকার।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ ধরনের সাইড দেশীয় সংস্কৃতির জন্য হুমকিস্বরূপ। সাইট বা প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিপথগামী ওয়েবসাইট ও অ্যাপ বন্ধে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।