প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উন্নয়নশীল দেশের চ্যালেঞ্জ

জিএস নিউজ ডেস্কজিএস নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ১১:২৮ এএম, ২০ জানুয়ারি ২০১৮

বিশ শতক শুরু হয়েছিল উড়োজাহাজ, মোটরগাড়ি ও বেতারের শৈশবাবস্থা দিয়ে। এরপর ত্বরিত অগ্রগতি হয় প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনে। বিশ শতকের শেষ হয় মহাকাশযান, কম্পিউটার, সেল বা সেলফোন ও বেতার ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহার শুরুর মধ্য দিয়ে। একুশ শতকে এসে বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রতিপত্তি অর্জন, বিস্তার ও বজায় রাখতে প্রযুক্তি হয়ে উঠেছে অন্যতম অবলম্বন।  লক্ষণীয় হয়ে উঠছে বিশ্বে আর্থসামাজিক দূরত্ব সৃষ্টিতে প্রযুক্তির প্রভাব। গত দশকের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস ও ইনফরফেশন টেকনোলজির অধ্যাপক কার্ল ডলম্যান মাথাপিছু আয়ে নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে বুরুন্ডি, কঙ্গো ও ইথিওপিয়ার তুলনা করে ধনী দেশ ও দরিদ্রতম দেশের মধ্যে ব্যবধান উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধির তথ্য দেন। আশির দশকের শুরু থেকে চলতি দশকের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে মাথাপিছু আয়ের এ ব্যবধান আর্থিক পরিমাণের প্রায় চার গুণ হয়েছে।

বিশ্বের দেশগুলো উন্নত ও উন্নয়নশীল এ দুই বৃহত্তর শ্রেণীতে বিভক্ত।  মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি, মোট জাতীয় উৎপাদন বা জিএনপি, মাথাপিছু আয়, শিল্পায়ন, জীবনযাত্রার মান ইত্যাদি অর্থনৈতিক অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে উন্নয়নে দেশের অবস্থান নির্ধারণ হয়ে থাকে। সার্বভৌম রাষ্ট্র, যার অর্থনীতি অত্যন্ত অগ্রগামী এবং অন্যান্য দেশের তুলনায় বিশাল প্রযুক্তিগত অবকাঠামোর অধিকারী হলে উন্নত দেশগুলোর অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য করা হয়। অর্থনৈতিক দিক থেকে এ দেশগুলো স্বনির্ভরশীল ও শিল্পায়নে সমৃদ্ধ। উন্নত দেশগুলোকে অ্যাডভান্সড বা প্রথম বিশ্বও বলা হয়। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) জরিপের ভিত্তিতে বিশ্বের সব দেশের প্রায় ২০ শতাংশ অ্যাডভান্সড ইকোনমিকসের অন্তর্ভুক্ত। এসব উন্নত দেশে বিনা খরচে সুস্থ ও নিরাপদ পরিবেশে বসবাসের সুবিধা দেয়া হয়। দেশগুলো মাঝারি ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক শিল্প উৎপাদনে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হারে এগিয়ে।

উন্নয়নশীল দেশগুলো শিল্পায়নে পিছিয়ে এবং শিল্পায়নের গতিও কম। শিল্পায়নে উন্নত দেশের ওপর নির্ভরশীল। মানব উন্নয়ন সূচক নিচের দিকে। শিল্পায়ন কম হওয়ায় বেকারত্ব, দারিদ্র্যহার ও আয়বৈষম্য বেশি। যোগাযোগ, পরিবহন ও চিকিৎসা ব্যবস্থা দুর্বল। জনসাধারণের অধিকাংশ স্যানিটেশনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত। গড় আয়ুষ্কাল এখনো ৭০ বছরের নিচে। উন্নত দেশে গড় আয়ুষ্কাল ৮০ বছরের ওপরে। কোনো কোনো উন্নয়নশীল দেশে প্রতি ১১ শিশুর মধ্যে একজন প্রথম জন্মদিন পালনের আগেই মৃত্যুবরণ করে। উন্নত দেশ ব্রিটেনে এ মৃত্যুহার প্রতি ২৬৫ শিশুর মধ্যে একজন। উন্নয়নশীল দেশগুলো উদীয়মান বাজার অর্থনীতি ও নিম্ন আয়ের উন্নয়নশীল হিসেবে বিভক্ত। মোটামুটি ৯৫টি উদীয়মান বাজার অর্থনীতির মধ্যে পড়ে এবং ৫৯টি দেশ নিম্ন আয়ের। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ উদীয়মান ও উন্নয়নশীল হিসেবে অন্তর্ভুক্ত। উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে জনসংখ্যা যথাক্রমে ২০০ কোটির কাছাকাছি এবং সাড়ে ৫০০ কোটির ওপরে। উল্লেখ্য, প্রায় চার দশক আগে এ সংখ্যা ছিল ১১০ কোটি ও ৩৪০ কোটি। উন্নত বিশ্বে এদের সংখ্যা এক-তৃতীয়াংশের কম।

উন্নত বা অ্যাডভান্সড দেশগুলোয় আয় অনেক বেশি। ফলে এগুলোকে উচ্চ আয়ের দেশও বলা হয়। বিশ্বব্যাংকের মতে, ২০১৪ সালে উচ্চ আয়ের দেশে মাথাপিছু গড় আয় ছিল নিম্ন আয়ের দেশগুলোর তুলনায় ১০ গুণেরও অধিক। নব্বইয়ের দশকের প্রথম ভাগে নিম্ন আয়ের দেশের জনসংখ্যা ছিল ৩১০ কোটির মতো। চলতি দশকের মাঝামাঝি এদের সংখ্যা ৮০ শতাংশের ওপর কমে ৬০ কোটির কাছাকাছি চলে এসেছে। বাংলাদেশ ও কেনিয়াসহ কিছু দেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ফলে নিম্ন আয়ের দেশগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। নিম্ন আয়ের দেশগুলোয় জিএনপি বৃদ্ধির হার মন্থর হলেও উচ্চ আয়ের দেশে বিশাল আকারে সম্প্রসারণ হয়েছে। বিশ্বে প্রায় ১৩০ কোটি মানুষ এখনো চরম দরিদ্রতার মধ্যে বসবাস করে। দিনপ্রতি মোটামুটি ১০০ টাকার কাছাকাছি আয়ের ওপর জীবনযাপন করতে হয়।  উন্নয়নশীল দেশে জাতীয় আয় লক্ষণীয় হারে বৃদ্ধি পেলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পার্থক্য হয়েছে হাজার ডলারের নিচে। উন্নত দেশে এ পার্থক্যের পরিমাণ হাজার হাজার ডলার। উন্নত দেশগুলোর অর্থনীতি বড় আকারের। সর্ববৃহৎ অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব অর্থনীতির প্রায় এক-চতুর্থাংশের অধিকারী। যুক্তরাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য হলো— উচ্চ গড় আয়, বৃহত্তর জনসমষ্টি, বিশাল মূলধন বিনিয়োগ, পরিমিত বেকারত্ব ও ভোগ্যপণ্য ক্রয় বাবদ জনগণের খরচের পরিমাণ বেশি। এ দেশের জনগোষ্ঠীর মধ্যে যুবকের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি। প্রযুক্তি উদ্ভাবনে যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে। বিশ্বের বেশকিছু উন্নয়নশীল দেশ এখনো বিদেশী সাহায্যের ওপর নির্ভরশীলতা, বিনিয়োগের জন্য মূলধনের স্বল্পতা, কম আয়, প্রযুক্তির অভাব ইত্যাদি কারণে উন্নয়নে পিছিয়ে আছে। এদিকে বিশাল জনগোষ্ঠী নিয়ে চীন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে এগিয়ে গিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের সমান ধনবান হয়ে উঠেছে। চীনের তুলনায় ছোট দেশ ও কম জনগোষ্ঠী নিয়ে প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সফলতার কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে জাপানের স্থান তৃতীয়। যুক্তরাষ্ট্র অর্থনীতির প্রায় এক-চতুর্থাংশের সমান পৌঁছতে সক্ষম হয়েছে। ভারতের জনসংখ্যা চীনের কাছাকাছি। প্রযুক্তি উদ্ভাবনে এ দেশ পিছিয়ে। দেশটির অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় এক-দশমাংশের কিছু বেশি। ভোগ্যপণ্য ক্রয় বাবদ ভারতীয়দের খরচ করার ক্ষমতা চীনের জনসাধারণের তুলনায় কম। অন্য দেশ থেকে আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র ক্রয় করতে হয়। মোট জনসংখ্যার বেশির ভাগ উন্নত স্যানিটেশনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

অতীতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রধান লক্ষ্য ছিল খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি। এরপর শিল্পায়নে গুরুত্ব দেয়া হয়। বর্তমান লক্ষ্য হলো, প্রযুক্তি ব্যবহার ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার দ্রুত উপরে তোলা। অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতায় প্রযুক্তি হয়ে উঠেছে সবচেয়ে বড় মাধ্যম। এতে সফলতা দেখা গেলেও উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশগুলোর মধ্যে ব্যবধান কমেনি। অর্ধশতাব্দীকাল সময়ে ভারতের অর্থনীতি এক-তৃতীয়াংশেরও অধিক বৃদ্ধি পেয়ে ২ ট্রিলিয়ন ডলার পার হয়েছে। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি এক-চতুর্থাংশের নিচে বৃদ্ধি পেয়ে ১৮ ট্রিলিয়ন ডলারের উপরে পৌঁছেছে। পাঁচ দশক আগে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের অর্থনীতির মধ্যে পার্থক্য ছিল ১ ট্রিলিয়নের বেশ নিচে। বর্তমানে এ পার্থক্য বৃদ্ধি পেয়েছে ১৬ ট্রিলিয়ন ডলারের ওপরে।  প্রায় ১৩০ কোটি জন-অধ্যুষিত চীন প্রযুক্তিগতভাবে এগিয়ে গেছে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রভাব বিস্তারের পরও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পার্থক্য এখনো ৭ ট্রিলিয়ন ডলারের মতো। চীনের অর্থনীতি বর্তমানে ভারতের তুলনায় ১১ ট্রিলিয়ন ডলারের চেয়ে বেশি। অর্ধশতাব্দীকাল আগে মাত্র ২৬ বিলিয়ন ডলারের পার্থক্য ছিল। জাপানের সঙ্গে ভারতের অর্থনীতির পার্থক্য অর্ধশতাব্দী আগে ৫০ বিলিয়ন ডলারের নিচে থেকে বর্তমানে আড়াই ট্রিলিয়ন ডলারের উপরে পৌঁছেছে।  মধ্যম ও নিম্ন আয়ের দেশের সম্মিলিত অর্থনীতির সঙ্গে উচ্চ আয়ের দেশগুলোর অর্থনীতির পার্থক্য ১ ট্রিলিয়ন ডলারের নিচে থেকে ২১ ট্রিলিয়ন ডলারের উপরে পৌঁছেছে। নিম্ন আয়ের দেশগুলোর অর্থনীতির সঙ্গে এ পার্থক্যের পরিমাণ হলো ৪৮ ট্রিলিয়ন ডলারের ওপরে।  বিশ্ব অর্থনীতির দুই-তৃতীয়াংশ উচ্চ আয়ের দেশগুলোর করায়ত্তে।

বড় অর্থনীতির উন্নত দেশগুলো জনকল্যাণে বেশি খরচ করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এসব উন্নত দেশে স্বাস্থ্যসেবায় বছরে মাথাপিছু ৪ হাজার মার্কিন ডলারের ওপর বা বাংলাদেশী মুদ্রায় মোটামুটি ৩ লাখ টাকার বেশি খরচ করে। আর কঙ্গোতে খরচের পরিমাণ ১২ ডলার বা ১ হাজার টাকার নিচে। উন্নত দেশে শিক্ষা বাবদ ছাত্রপ্রতি বছরে ৮ হাজার মার্কিন ডলারের বেশি ব্যয় হয়। নরওয়ে, অস্ট্রিয়া, লুক্সেমবার্গ ও সুইজারল্যান্ডে এ ব্যয়হার ১৪ হাজার ডলারের ওপরে এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১ হাজার ২০০ ডলার। উন্নয়নশীল দেশের অধিবাসীরা উন্নত দেশের সমান নাগরিক সুবিধা থেকে সবসময় হয়তো বঞ্চিত থেকে যাবে। বেকারত্ব ও মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে উচ্চহারে ঋণ নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য যুদ্ধ করে যেতে হবে। কষ্টে অর্জিত অর্থ ব্যয় করে উন্নত দেশে উৎপাদিত পণ্য ক্রয় করতে থাকবে। উন্নত দেশে কর্মসংস্থানের অনেকটাই নির্ভর করে ওইসব দেশে উৎপাদিত পণ্য উন্নয়নশীল দেশে রফতানি করে।

উন্নয়নশীল দেশ হয়তোবা কোনো দিনই অন্যের সাহায্য নিয়ে নিজস্ব সমস্যা সমাধান করতে পারবে না। এ সমস্যা অর্থনৈতিক, সামাজিক,  রাজনৈতিক বা যে ধরনেরই হোক না কেন। এদের সমস্যা নিয়ে উন্নত দেশগুলোও মাথা ঘামাবে না বা সাহায্য করেও সমাধান করতে পারবে না। চীনের সফলতার কারণ হিসেবে নিউজউইক পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রবন্ধে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার প্রফেসর ইমেরিটাস গ্যারেট হার্ডিন উল্লেখ করেছেন যে, দেশটিকে ‘এইড’ বা সহায়তা দিয়ে ‘সাহায্য’ করা হয়নি। তার বর্ণনা মতে, ১৯৫০ সাল থেকে ভারত বিভিন্ন দেশ থেকে বিশাল আকারে এইড পেতে থাকে।  চীনও এইড পায়, তবে মাত্র একটি দেশ— সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে এবং ১৯৫৭ পর্যন্ত। শুরুতে উভয় দেশই সমভাবে দৈন্যপীড়িত ছিল এবং পরিবর্তনের সম্ভাবনা ছিল ক্ষীণ। বর্তমানে নিঃসন্দেহে চীনের জনগণ বেশ ভালো অবস্থায়। অধিকতর স্বাস্থ্যবান, উন্নত স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার সুযোগ পায় এবং সাক্ষরতা ও শিক্ষার হার বেশি।  বিদেশী সহায়তা ভারতের দরিদ্রতা দূর করতে বৃহৎ ভূমিকা রাখতে পারেনি। আবার বিদেশী সহায়তার অভাবে চীন পঙ্গু হয়ে পড়েনি। চীনে শুরুতে মাও জে দং-এর উৎসাহে ‘নিজস্ব প্রচেষ্টায় পুনর্গঠন’— এ নীতি গ্রহণ করা হয়। বিদেশী প্রযুক্তির বদলে পুরুষ ও নারীদের মস্তিষ্কে কী আছে, তার ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়।

বিদেশী সহায়তায় নতুন নতুন প্রযুক্তি আসতে পারে। তবে প্রযুক্তি কার্যকর করতে মানুষকে সামাজিক পরিবর্তন আনতে ইচ্ছুক হতে হবে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর বেশির ভাগ প্রাকৃতিক সম্পদে ধনী। দেশের অন্তর্নিহিত ঐশ্বর্য অনুধাবন করতে হলে এসব দেশের সরকারকে দেখতে হবে নিজস্ব সম্পদ দিয়ে জনসাধারণের চাহিদা কীভাবে পূরণ করা যায়। এ সম্পদ ব্যবহারে এমন ধরনের প্রযুক্তি নির্বাচন করতে হবে, যা সংস্কৃতির সঙ্গে সমন্বয়যুক্ত এবং স্বাবলম্বন অর্জনে সহায়ক হবে। স্বাবলম্বন ব্যতিরেকে উন্নতি সম্ভব নয় এবং এটা বাইরে থেকে কেউ দান করতে সক্ষম নয়। স্বাবলম্বন দেশের ভেতরে মানুষের থেকে জন্ম নেবে। বিদেশীরা নতুন নতুন প্রযুক্তি পাঠিয়ে সাজিয়ে দিতে পারে। তবে দেশের উন্নয়ন হতে হবে মানুষের ইচ্ছার মধ্য দিয়ে, যা তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে প্রকাশ হবে।

আপনার মতামত লিখুন :