৫ দিনের রিমান্ডে নুসরাতের বান্ধবী মনি

স্টাফ রিপোর্টারস্টাফ রিপোর্টার
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৪:১৪ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০১৯
সংগৃহিত

ফেনীর সোনাগাজীতে মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় গ্রেফতার সহপাঠী বান্ধবী কামরুন্নাহার মনির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সরাফ উদ্দিন আহম্মেদের আদালত দুপুর পৌনে ১টায় এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ফেনীর কোর্ট পরিদর্শক গোলাম জিলানী জানান, সোনাগাজীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি মনিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মো. শাহ আলম আদালতে হাজির করে আদালতের কাছে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত মনির ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে সোমবার রাতে ফেনী থেকে নুসরাতকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যায় জড়িত কামরুন্নাহার মনিকে আটক করে পিবিআই। নুসরাত হত্যার অন্যতম আসামি শাহাদাত হোসেন শামীমের সম্পর্কে ভাগনি হন মনি। ঘটনার দিন মনি এক লিটার কেরোসিন বহন করে মাদরাসায় নিয়ে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পিবিআই।

নুসরাতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহজাহান কবির সাজু বলেন, আসামি নূর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামীমের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে কামরুন নাহার মনির কথা উঠে আসে। সে এ ঘটনায় বোরকা কিনে সরবরাহ করেছিল।

এলাকাবাসীরা জানায়, আটক মনি সোনাগাজী বাসস্ট্যান্ডের ঈমান আলী হাজী বাড়ির মরহুম বিডিআর আজিজুল হকের পালিত মেয়ে। সে নুসরাত জাহান রাফির সহপাঠী।

গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে গেলে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায় মুখোশধারীরা।

প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যান নুসরাত জাহান রাফি। সেখানে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। ১০ এপ্রিল (বুধবার) রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান অগ্নিদগ্ধ নুসরাত। পরদিন সকালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের বুঝিয়ে দিলে বিকেলে সোনাগাজী পৌরসভার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

জিএসনিউজ/এমএইচএম/এমএআই

আপনার মতামত লিখুন :