রিমান্ড শেষে অধ্যক্ষ সিরাজ কারাগারে

মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহার রাফিকে শ্লীলতাহানির মামলায় পিবিআইয়ের কাছে ২ দিনের রিমান্ডে থাকা সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. জাকির হোসাইনের আদালত এ আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলম জানান, ১৭ জুন অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। দুই দিন শেষে গতকাল বুধবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিজ্ঞ আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানি করেন অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলা। একইদিন নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দয়ের করেন। পরে সিরাজ উদ্দৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ ঘটনার পর থেকে ওই মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে চাপ দিতে থাকে সিরাজের লোকজন। ৬ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের তিন তলার ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা রাফির শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। পাঁচদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যায় রাফি।
এ ঘটনায় তার বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলাসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী থানায় হত্যা মামালা করেন। পরে ৩০ মে মামলার এজহারভুক্ত ৮ আসামিসহ ১৬ জনকে দায়ী করে চার্জশিট দেয় পিবিআই।
অধ্যক্ষ সিরাজসহ নুরউদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন নাহার মণি, জাবেদ হোসেন, আবদুর রহিম ওরফে শরীফ, হাফেজ আবদুল কাদের ও জোবায়ের আহমেদ, এমরান হোসেন মামুন, ইফতেখার হোসেন রানা ও মহিউদ্দিন শাকিল নুসরাত হত্যায় জড়িত থাকার কথা আদালতে স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।