প্রতি মাসে ৫ লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ রাসেলকে

স্টাফ রিপোর্টারস্টাফ রিপোর্টার
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৫:৫৯ পিএম, ২৫ জুন ২০১৯

বাস চাপায় পা হারানো প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারকে মাসিক পাঁচ লাখ টাকা কিস্তিতে ক্ষতিপূরণের বাকি ৪৫ লাখ টাকা পরিশোধ করতে গ্রিনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। প্রতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে টাকা পরিশোধ করে ১৫ তারিখে তা আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে।

ক্ষতিপূরণ দেওয়ার অগ্রগতি নিয়ে শুনানির দিন স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে হাইকোর্টে বাসচাপায় পা হারানো রাসেল। হাইকোর্ট, ঢাকা, ২৫ জুন। ছবি: দীপু মালাকার বাসচাপায় পা হারানো রাসেল সরকারকে প্রতি মাসে পাঁচ লাখ টাকা করে কিস্তিতে বাকি ৪৫ লাখ টাকা পরিশোধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

প্রতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে ওই অর্থ রাসেলকে দিয়ে ১৫ তারিখের মধ্যে আদালতে অর্থ পরিশোধবিষয়ক প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

ক্ষতিপূরণের টাকার পরিমাণ কমানোর আবেদন নাম নামঞ্জুর করে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ কিস্তিতে পরিশোধের সুযোগ দিয়ে এ আদেশ দেন।

গ্রিন লাইনের আইনজীবীকে আদালত বলেন, ‘আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করার কোনো ফন্দিফিকির করা হলে আপনাদের সরকার কীভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করে, তা আমরা দেখব। কিস্তিতে অর্থ পরিশোধ করতে হবে। আপনারা যথেষ্ট বেয়াদবি করেছেন। আপনাদের আচরণ কোনোভাবেই শোভনীয় নয়।’

আদালতে গ্রিন লাইনের মালিকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. ওজি উল্লাহ। রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খোন্দকার শামসুল হক রেজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম। বিআরটিএর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম।

গত বছরের ২৮ এপ্রিল যাত্রাবাড়ীর মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে গ্রিনলাইন পরিবহনের একটি বাস চাপা দেয় প্রাইভেটকার চালক রাসেলকে। তাকে বাঁচাতে একটি পা কেটে ফেলতে বাধ্য হন চিকিৎসকরা।

রাসেল সরকারের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে সাবেক সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুমের করা এক রিট আবেদনে চিকিৎসা খরচ বাদেও ৫০ লাখ টাকা দিতে গ্রিনলাইনকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরে আপিল বিভাগেও ওই আদেশ বহাল থাকে।

গত ১০ এপ্রিল রাসেলকে ৫ লাখ টাকা পরিশোধ করে গ্রিনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষ বাকি ৪৫ লাখ টাকা পরিশোধের জন্য এক মাস সময় পায়।

জিএসনিউজ/এমএইচএম/এএওয়াই

আপনার মতামত লিখুন :