পোশাকের আভিজাত্য ঈদে
অনলাইন ডেস্ক:>>>>
বর্তমান ঈদ ট্রেন্ড চলছে একটু গর্জিয়াস ঘরানার। ক্রস, লেইস, ডলার, স্টোনের ব্যবহারের পাশাপাশি পাতলা আরামদায়ক সুতি কাপড়ের ওপরও রয়েছে নানা ভ্যারিয়েশন। নতুন কাপড়ের মধ্যে রয়েছে সিকোয়েন্স, ডিজিটাল, জুমার, লামলাম কটন, লেদার প্রিন্টসহ নানা ধরনের কাপড়। এর মধ্যে সিকোয়েন্স কাপড় বেশ গর্জিয়াস। ইন্ডিয়ান কটন রয়েছে কয়েক ধরনের। ইন্ডিয়ান কটনগুলোর পাড়ে চওড়া এম্ব্রয়ডারি ও হাতের কাজ করা। ভেলভেট কাপড়ে জর্জেটের ওপর নকশা করা হয়েছে ভেলভেট দিয়ে। কটনের মধ্যে রয়েছে চোখধাঁধানো নানা ডিজাইন। নতুন আসা লেদার প্রিন্ট খুব আরামদায়ক। নেট কাপড়ের ওপর লেদারের ফুলের মতো বসানো কাপড় জুড়ে।
ডিজাইনারদের সূচিকর্মের মুন্সিয়ানাতে থাকবে নিত্যনতুন ভাবনার বহিঃপ্রকাশ। ঈদে গতানুগতিক বাঙালিয়ানায় পোশাকী কারুকাজে আনা হয়েছে গর্জিয়াস লুক। ঈদের জন্য এবার ফেব্রিক হিসেবে অনেকে বেছে নিয়েছে লিলেন কটন, এন্ডি সিল্ক, হাফ সিল্ক, জয় সিল্কসহ বিভিন্ন ডিজাইন ফেব্রিক। শতাধিক সালোয়ার কামিজ আর পাঞ্জাবির ডিজাইনে এবার কাটিং, ফিটিংস এবং নেক লাইন বৈচিত্র্যতা থাকছে সমসাময়িক ট্রেন্ড অনুযায়ী। শাড়িতে টাঈালের তাঁত, জামদানিসহ থাকছে ভারি কারুকার্জের ঈদ কালেকশন। সালোয়ার কামিজ আর কুর্তার প্যাটার্নে এবার থাকছে লং এবং গাউন স্টাইল, কিছু কাটিং-এ থাকছে ঘের এবং বডি ফিটিংস।
এবার দেশীয় ফ্যাশন হাউস রঙ-বিশ্বরঙ এনেছে বিশেষ আয়োজন। ঈদ মানেই অনাবিল আনন্দ, তাই ঈদকে কেন্দ্র করে ‘বিশ্বরঙ’-এর ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে বছরজুড়ে। কেননা ঈদকে ঘিরেই আমাদের দেশের মূল ফ্যাশন সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। বছরজুড়ে ফ্যাশন নিয়ে যত নতুন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়, তার বহিপ্রকাশ ঘটে প্রতিবারের ঈদে। তাই সুদীর্ঘ ২৩ বছর ধরে নিত্য নতুন ট্রেন্ড নিয়ে ‘বিশ্বরঙ’ ঈদ আয়োজন করে থাকে।
এবারের ঈদ প্রচণ্ড গরমের পর পরই বর্ষার মধ্যে হওয়ায়, ‘বিশ্বরঙ’ বর্ষার বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করে সাজিয়েছে এবারের ঈদ আয়োজন। পোশাকের ধরনটা এবং কি ধরনের উপকরণ ব্যবহার করা হবে ‘বিশ্বরঙ’ আগে থেকেই চিন্তা ভাবনা করে রেখেছে। ‘বিশ্বরঙ’ চেষ্টা করেছে ঈদ উৎসবে আরামটাকে কিভাবে বেশি দেয়া যায়। এজন্য সুুতি কাপড় প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
এছাড়া উৎসবে অনেকেই জমকালো পোশাক পছন্দ করে সেক্ষেত্রে ক্রেতাসাধারণের চাহিদা অনুসারে এন্ডি, এন্ডি সিল্ক, সিল্ক, মসলিন, রেশমী কটনের পোশাকে, সাধারণ ও ভরাট নকশার সুক্ষ্ম কাজ করা হয়েছে। সালোয়ার-কামিজের কাটিং এবং প্যাটার্নে অনেক নতুনত্ব আনা হয়েছে, প্যাটার্নে রয়েছে- লেয়ার কাট, লং লেয়ার কাট, কোটি, ড্রাপিং টেংনিক, পিনটাক ছাড়াও থাকছে নীরিক্ষামূলক কাজের ভিন্ন ভিন্ন প্রয়াস। বরবরই রঙের সমাহারকে ‘বিশ্বরঙ’ বেশি প্রাধান্য দিয়েছে।
রং বৈচিত্র্যে বর্ষার নীল রং ছাড়াও হাল্কা বা উজ্জ্বল সব রঙের কম্বিনেশন ব্যবহƒত হয়েছে। এছাড়া সেলফ সুতার লাইট ও ডিপ কালার ব্যবহার করা হয়েছে একই পোশাকে। এছাড়াও ‘বিশ্বরঙ’-এর বৈশিষ্ট্য উজ্জ্বল রঙের ট্রেন্ড বা ধারা বজায় রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের নকশা ব্যবহার করা হয়েছে। ব্লক, টাই-ডাই, স্ক্রিন-প্রিন্ট, অ্যাপলিক, অ্যামব্রয়ডারি, কারচুপি, আড়ি, হাতের ভরাট কাজ, লেস, কাতানপাড় ইত্যাদি মিডিয়া হিসেবে ব্যবহার করে ভিন্ন এক নান্দনিকতার রূপ দেয়া হয়েছে প্রতিটি পোশাককে।
অঞ্জনসএ ঈদ মানেই উৎসবের রঙে নিজেকে রাঙানো। তাই ঈদের নতুনত্ব আনতে প্যাটার্ন বৈচিত্র্য এবার প্রাধান্য পাচ্ছে সালোয়ার কামিজ, পাঞ্জাবি বা কুর্তাতে। সব কিছুতেই থাকছে ফেব্রিক, ডিজাইন বা মোটিফের যুগপৎ উপস্থাপনা।
নন্দিনীতে এবার রয়েছে কালার ফুল ডিজাইনের ভিন্নধর্মী পোশাক। সুতির ওপর নানা রঙের সুতার কাজ করা সালোয়ার কামিজ। গাউন স্টাইলের পোশাকগুলো রাখা হয়েছে এখানে। মসলিন, পিওর এবং জর্জেটের ওপর কাজ করা হয়েছে গাউনগুলোতে। এ পোশাকটি জাঁকজমক ঈদ পার্টিতে পরে যাওয়া যাবে অনায়াসে।
হাতের কাজের সালোয়ার কামিজ এবারো দেখা যাবে। পাতলা সুতি, মসলিন, নরম সিল্ক কাপড় বেশি ব্যবহার হয়েছে। জামদানি দিয়েও তৈরি হয়েছে সালোয়ার-কামিজ। দেশি এ কাপড়গুলোয় কোনো কৃত্রিম তন্তু ব্যবহার করা হয়নি।
লম্বা কামিজের চলটা এবার অনেক বেশি। তবে এর থেকে ভিন্ন কিছুও পরতে চাইবেন অনেকে। এ ভাবনা থেকেই বাজারে এসেছে ফ্রক কাটের কিছু কামিজ। অবশ্য লম্বা কামিজও করা হয়েছে। উজ্জ্বল রঙে এবারো ব্যতিক্রম নয়। আর এসব পোশাকে ব্যবহার হয়েছে মূলত অ্যামব্রয়ডারির নকশা। কিছু অ্যাপ্লিক, স্ক্রিন প্রিন্ট, ব্লক প্রিন্টও ব্যবহার হয়েছে। আবহাওয়ার কারণেই এবার সাজটাও দেখা যাবে হালকা।
হালকা বেস মেকআপে গাঢ় কাজল আর উজ্জ্বল লিপস্টিক, এমনটাই হতে পারে সাজের ধরন।



