প্রশাসন ভুলে গেছে তারা কোন দলের কর্মকর্তা নয়-প্রফেসর এমাজউদ্দীন

GS News 24GS News 24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ১০:৩৮ এএম, ২৪ অক্টোবর ২০১৮

স্টাফ রিপোর্টারঃ>>>

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বলেছেন, প্রশাসনের কর্মকর্তারা ভুলে গেছেন তারা কোন দলের নয়, বরং রাষ্ট্রের কর্মকর্তা। রাষ্ট্রের জনগণের কষ্টে অর্জিত অর্থ দিয়েই তাদের বেতন দেয়া হয়। জনকল্যাণে, রাষ্ট্রের কল্যাণের কাজে তাদের সংশ্লিষ্ট থাকার কথা। মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ারের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম’ আয়োজিত এক স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

 

 

প্রফেসর এমাজউদ্দীন বলেন, গত ৮-৯ বছরে প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে লোকজন নিয়োগ হয়েছে মেধার ভিত্তিতে নয়, দলের নেতার প্রতি অনুগত হওয়ার জন্য প্রতিটি নিয়োগ হয়েছে। এজন্য আমরা প্রশাসনের দিকে তাকালে দেখতে পাই, তারা হয়তো ভুলে গেছেন তারা রাষ্ট্রের কর্মকর্তা, কোনও দলের না।

 

 

জাতীয় ঐক্য নিয়ে তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দল ঐক্য প্রক্রিয়াকে ষড়যন্ত্র বলে চালিয়ে দিতে চাচ্ছে। আমি বলবো ষড়যন্ত্র ওইটা না। ষড়যন্ত্র হলো রাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের দলের কাজে ব্যবহার করা। এই ষড়যন্ত্র যতক্ষণ পর্যন্ত আছে, ততক্ষণ কষ্ট সহ্য করতে হবে। এই ষড়যন্ত্রকে মুছে ফেলার জন্য প্রয়োজন হবে জাতীয় পর্যায়ে ঐক্য। যার সূচনা হয়েছে, কিন্তু সমালোচনা করার দরকার নেই। প্রয়োজন হলে আত্মসমালোচনার জায়গা আছে, যে জাতির কল্যাণে আমরা কতটুকু অবদান রাখতে সক্ষম হচ্ছি, এদিকে দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।

 

 

প্রবীণ এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, এই মুহূর্তে আমরা জাতীয় পর্যায়ের মস্ত বড় সংকটের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করছি। এই সংকট থেকে উত্তরণে একাধিক পথ নেই। বাংলাদেশের জনগণ অতীতেও এ রকম সংকট একাধিকবার অতিক্রম করেছে। নিজেদের আত্মবিশ্বাস নিয়ে যা ন্যায়, যা গ্রহণযোগ্য তার জন্য উঠে দাঁড়ানো এই মুহূর্তে সবচেয়ে প্রয়োজন। এর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে সকলকে।

 

 

সঙ্কটের জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি বলেন, এই সংকট তৈরি হলো কী করে। দুটো বড় কারণ আছে, এই দুটো বড় কারণেই আওয়ামী লীগ এই সংকটের জন্ম দিয়েছে। এই সরকার মস্ত বড় প্রশ্নবোধক কাজ করে চলেছে। গত ৮-৯ বছরের মধ্যে দল এবং সরকারের মধ্যে যে পার্থক্য, তা মুছে ফেলা হয়েছে। রাষ্ট্র, সরকার এবং দলের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। রাষ্ট্রের অংশ হিসেবে আমি রাষ্ট্রের সমালোচনা করতে পারি না, কিন্তু আমি সরকারের সমালোচনা করতেই পারি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যেখানে গণতন্ত্র আছে সেখানে সরকারের সমালোচনা করার জন্য বিরোধী দল আছে। দল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সম্পূর্ণ ভিন্ন। কিন্তু রাষ্ট্রের কর্মকর্তা দলীয় কাজে সম্পৃক্ত হবে এটা মোটেও কাম্য নয়।

 

আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কর্নেল (অব) আনোয়ারুল আজিম, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ প্রমূখ।

আপনার মতামত লিখুন :