ধানের শীষ প্রার্থী হাবিব নিরাপত্তা চেয়ে রির্টানিং অফিসারের কাছে আবেদন
সাতক্ষীরা ব্যুরো চীফ:>>>
সাতক্ষীরা-১ সংসদীয় আসনের বিএনপি মনোনীত ধানেরশীষ প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব নিজের নিরাপত্তা এবং নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসাদের দলীয়করনের উর্দ্ধে থেকে পুনরায় তাদের নিয়োগের দাবীতে রির্টানিং অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন। তিনি সোমবার রির্টানিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামালের কাছে এ ব্যাপার আলাদা দুটি লিখিত আবেদন করেছেন।
তিনি তার লিখিত আবেদনে উল্লেখ করেছেন, আমি গত চারবার জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশ গ্রহন করেছি।
দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। কিন্তু বর্তমানের মত নির্বাচনের পরিবেশ আমি কখনও দেখি নাই। আমার প্রাচার মাইক ভেঙ্গে দিয়েছে আওয়ামী সন্রাসীরা, ধানের শীষ প্রতিকের কোন পোষ্টার লাগাতে দেয়া হচ্ছে না। যা আমি বার বার মৌখিকভাবে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাই নাই। তিনি লিখিত আবেদনে জানান, আমি গত ১৪ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ১০টায় আমার কলারোয়ার নিজ বাসভবনে দলীয় কর্মীদের নিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী মতবিনিময় শেষে নির্বাচনী প্রচারনার অংশ হিসাবে নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে লিফলেট বিতরনের উদ্দেশ্য কলারোয়া বাজার প্রদক্ষিন করার সময় থানা থেকে মাত্র ১০০ গজ দূরে হাইস্কুল মার্কেট পৌঁছালে পুলিশ প্রশাসনের সামনে সামনেই ২০-৩০ জন আওয়ামী সন্রাসী পিছন দিক থেকে আমার নেতা কর্মীদের উপর হামলা করে। হামলার হাত থেকে কর্মীদের রক্ষা করতে গিয়ে আমি নিজেও আহত হই এবং আমার উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি অধ্যাপক বজলুর রহমানসহ ১০ নেতা-কর্মী গুরুতর আহত হন।
যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এছাড়া ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় সাবেক এমপি অতিয়ার রহমানের ছেলে আখলাকুর রহমান শেলীক বাসষ্ট্যান্ডে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হত্যার উদ্দেশ্যে আওয়ামী সন্রাসীরা হামলা চালায়। সেসহ তকদীর আহমদ রুবেল বর্তমান ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এখনও প্রতিদিন বিকাল ও সন্ধ্যায় ২০-৩০ জন আওয়ামী সন্রাসীরা লাঠি,রড, হকিষ্টিক নিয়ে প্রকাশ্য মিছিলসহ মহড়া দিচ্ছে। যার জন্য সন্ধ্যার পর গোটা কলারোয়া বাজার ভয়ে আতঙ্ক জনমানব শুন্য হয়ে পড়েছে। এমন ভীতিকর পরিস্থিতিতে সুষ্ঠ নির্বাচনের পরিবেশ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। আমার বাসভবনের সামনে আওয়ামী সন্রাসীরা সাবর্বক্ষনিক মহড়া দিচ্ছে, যাতে আমার বাড়িতে কোন দলীয় নেতা-কর্মী আসতে না পারে। যে কারনে আমি নিজেও নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি।
এদিকে, অপর একটি আবেদনে তিনি জানান, তার আসনে নির্বাচনী দায়িত্ব নিয়োজিত প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসাদের সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক বিবেচনায় দলীয়করনের মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যা নিরপেক্ষ নির্বাচনে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে।
এমতাবস্থায় তিনি নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসাদের পুনরায় নিয়োগের দাবীসহ তার নিরাপত্তার স্বার্থে যাতে পুলিশসহ নিরাপত্তা নিয়ে সার্বক্ষনিক নির্বাচনী মাঠ বিচরন করতে পারেন সে জন্য রির্টানিং অফিসারের কাছে দুটি পৃথক লিখিত আবেদনে জানিয়েছেন।



