কৌশলে বৃদ্ধা মাতার কাছ থেকে জমি লিখে নেওয়ার অভিযোগ
শেখ আমিনুর হোসেন, সাতক্ষীরাঃ>>>
সাতক্ষীরায় আপন ২ বোনকে ফাঁকি দিয়ে কৌশলে বৃদ্ধা মাতার কাছ থেকে জমি লিখে নেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন সাতক্ষীরা সদরের বড়খামার (ব্রক্ষরাজপুর বাজার) গ্রামের কেরামত আলীর বৃদ্ধা স্ত্রী ফুলজান বিবি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন আমাদের তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তাদের প্রত্যকের বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। এদের মধ্যে ছোট মেয়ে মোছাঃ মোনজুয়ারা খাতুন ও মেঝ মেয়ে রেফুজা খাতুন আমার বাড়িতে থাকে। আর বড় কন্যা রিজিয়া খাতুন তার শ্বশুরবাড়ী পাটকেলঘাটায় থাকেন। বিগত ১৯৬৭ সালের দিকে আমার স্বামী ব্রহ্মরাজপুর মৌজায় এস এ ৬৩৫০ দাগ, ১০৩১ খতিয়ান মোট ২৫ শতক সম্পত্তি আমার নামে লিখে দেন। আমার কন্যাদের মধ্যে মেঝ কন্যা রেফুজা খাতুন গোপনে আমার ওই সম্পত্তি লিখে নেওয়ার ষড়যন্র করতে থাকে। এর প্রেক্ষিতে গত ২৪/১২/২০১৮ তারিখে আমার মেঝ কন্যা রেফুজা খাতুন আমাকে ডাক্তার দেখানোর নাম করে সাতক্ষীরায় নিয়ে আসেন।
এরপর আমাকে ডাক্তারের কাছে না নিয়ে সাতক্ষীরা রজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে আমার নামীয় সম্পত্তি লিখে দেওয়ার কথা বলে। আমার বাকী কন্যাকে ফাঁকি দিয়ে জমি লিখে দিতে রাজি না হওয়ায় সে আমাকে বলে সমস্যা নেই আমি তাদের ফাঁকি দেব না। ৩ বোনর নামই দলিল হবে। এছাড়া আমার হাতে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে বলে তুমি স্বাক্ষর (টিপ সহি) কর আমি ঠিক করে দিচ্ছি। আমি তার কুটকৌশল বুঝতে না পেরে স্বাক্ষর করি। এরপর রেফুজা আমাকে বলে এতটাকা তুমি হারিয়ে ফেলবা আমার কাছে দাও বাড়ি গিয়ে দিবো বলে ওই ৩০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। এরপর বাড়ী গিয়ে বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করে।
তিনি আরো বলেন রেফুজাকে অন্য দুই বোনের ভাগ দেওয়ার বিষয় বললে সে তালবাহানা করলে আমার সন্দেহ হয়। তখন আমি স্হানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি রেফুজা অন্য বোনদের ফাঁকি দিয়ে কৌশলে আমার জমি নিজের নামে লিখে নিয়েছে। এঘটনায় আমি ২৫/১২/২০১৮ তারিখে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
এব্যাপারে তিনি ওই কুটকৌশলী অর্থলোভী কন্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং উক্ত সম্পত্তি বাকী ২ কন্যাদের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে দেওয়ার জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলন আরো উপস্থিত ছিলেন কন্য, নাতি-নাতনিসহ অন্যান্য আত্মীয় স্বজনরা।



