সাতক্ষীরা-২ (সদর) আসনের ১৩৭ টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে পরীক্ষা মূলক ভোট শুরু

জিএস নিউজজিএস নিউজ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৩:৪৪ পিএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮

শেখ আমিনুর হোসেন, সাতক্ষীরা ব্যুরো চীফ:>>>

সাতক্ষীরা-২ (সদর) আসনের ১৩৭ টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে পরীক্ষামুলক ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। হাতে কলমে ভোটারদের ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটদানের প্রশিক্ষন শেষে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পরীক্ষামুলক ভোটগ্রহণ শুরু হলেও ভোটারদের উপস্থিতি কম থাকলেও আগ্রহ ছিলো লক্ষ্যেনীয়। সকাল ১০টা থেক শুরু হয়ে ভোটগ্রহন চলবে বেলা চারটা পর্যন্ত।

প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী ৬ আসনের মধ্যে সাতক্ষীরা-২ আসনেও ইভিএম ভোটগ্রহণ হবে। ৩ লাখ ৫৬ হাজার ১৮৪ জন ভোটার ৩০ ডিসেম্বর ইভিএম পদ্ধতিতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। সাতক্ষীরা সদর আসনে ১৩৭টি ভোট কেন্দ্রে ৬৯৮ টি ভোট কক্ষে ভোট গ্রহণ করা হবে।

বৃহস্পতিবার ভোটারদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে এবং ভুল ভ্রান্তি এড়াতে মক ডমা ভোটের আয়োজন করা হয়েছে। ইভিএম ব্যবহারকে কেন্দ্র করে ভোটারদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক কৌতুহল। এমনকি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও প্রার্থীদের মাঝেও নতুন এই প্রযুক্তি নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট আগ্রহ। এছাড়া ইভিএমে ভোট নেয়ার আগে যথেষ্ট প্রচারণা ও প্রশিক্ষণের ফলে ভোটারদের মধ্যে যে ভয় বা সংসয় ছিলো তা অনেকটা দূর হয়েছে। প্রতিটি বুথে একটি করে ইভিএম মেশিন থাকবে। কোন মেশিন যদি সাময়িক ভাবে বিকল হয়ে যায় সাথে সাথে সাপটিং হিসেবে আর একটি করে ইভিএম মেশিন থাকবে। যাতে করে কোন ধরণের সমস্যার সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় ভোটার সাতক্ষীরা সদরের নলকুড়া গ্রামের মৃত শেখ আজাদ হোসেনের ছেলে শেখ আলমগীর হোসেন বলেন, ইভিএম মেশিনে ভোট কারচুপি করার কোন সুযোগ নেই। ইভিএমের মাধ্যমে আমরা সুন্দর ভাবে ভোট দিতে পারবো। এই জন্য আমারা অনেক খুশি। সাতক্ষীরা জেলা সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শেখ আমিনুর হোসেন বলেন, ইভিএমের মাধ্যমে জাল ভোট দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। এখানে ভোট দিতে ভুল হলে সংশোধনের ব্যবস্থা আছে এবং ইভিএম সহজে ভোট দেওয়া যায় । এ ব্যাপারে প্রশিক্ষক দেবব্রত কর্মকার বলেন, ভোটারা যাতে করে সহজে ভোট দিতে পারে সেজন্য আমাদের এই প্রশিক্ষণের ব্যাবস্থা ।
জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, সদর আসনে ইভিএম ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সাতক্ষীরার সকল কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোকবল দিয়ে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহন করা হচ্ছে। বিকাল চারটা পর্যন্ত ভোট গ্রহন চলবে।
সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বলেন, জেলা তথ্য অফিস ও আমাদের নিজস্ব প্রচার ব্যবস্হার মাধ্যমে সদর উপজেলার প্রত্যকটি ইউনিয়নের মধ্যে মাইকিং করা হয়েছে। প্রার্থীদের জানানো হয়েছে। তারপর উপস্হিতি কম কেন বুঝতে পারছিনা। কাজে ব্যস্ততার কারনে হয়তো মানুষ ভোট কেন্দ্রে আসতে পারেনি। ভোটের দিন ভোটাররা আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আপনার মতামত লিখুন :