চিংড়ি রপ্তানিতে ধস ঠেকাতে সরকারি নজরদারির তাগিদ

স্টাফ রিপোর্টার>>>
রাজধানী হোটেল পূর্বাণীতে অনুষ্ঠিত একদিনে এক সেমিনারে রপ্তানিযোগ্য চিংড়ি চাষের বিভিন্ন অবকাঠামো, দুর্বলতাগুলি নানকানেলে উৎপাদন হ্রাসের তথ্য তথ্য তুলে ধরে অনতিবিলম্বে সরকারকে এদিকে নজর দেওয়া হয়। অন্যথায় চিংড়ি রপ্তানিকারক ক্ষেত্রে ধস নামতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বক্তারা। গতকাল বিকেলে মহানগরীর হোটেল পূর্বাণীতে বিএফএফইএ এবং বিপিডি যৌথ উদ্যোগে ‘হিমায়িত চিংড়ি চাষ এবং অবকাঠামো আটকানো দূরীকরণ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৫৫০ বিলিয়ন ডলারের ৪৭ হাজার ৬৩৫ মেট্রিক টন চিংড়ি রপ্তানি হলেও ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬ এবং ২০১৬-১৭ তে তা কমে দাঁড়ায় যথাক্রমে ৫১০ মি। ডলার মূল্য ৪৪ হাজার ২৭৮মে টন, ৪৭২ মি। ডলার ৪০ হাজার ২৭৬ হাজার মে টন এবং ৪৪৬ মি। ডলার মূল্য ৩৯হাজার ৭০৬ মে টন।
সেমিনারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চাঁদ বলেছেন, শিগগিরই বাংলাদেশ ভিশা ভিজে ভিজে ভেজামি নামকরণ করে ঝাঁকুনি চাষের সম্ভাব্যতা যাচাই বাগদাচিংড়ি পাশাপাশি পরীক্ষামূলক চাষের ব্যবস্থা করা হবে।
সেমিনারে চিংড়ি চাষের উপর দুটি প্রবন্ধ পাঠান মৎস্য অধিদফতরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা চিত্তরনঞ্জন বিশ্বাস এবং সাবেক উপ-পরিচালক প্রফুল কুমার সরকার। দেশীয় বডচিংরি থেকে ভেনামিচিংরি উৎপাদনখরচ ২0-30 শতাংশ কম কারণ তারা বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো এটিকে ব্যাপকভাবে চাষাবাদের উপর জোর দেয়।
বিএফএফএফইএর সভাপতি আমিল উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা মেজর তালুকদার আব্দুল খালেক ও কক্সবাজার -২ এর এমপি আসেক উল্লাহ রফিক।
মৎস্য মন্ত্রী বলেন, এই ধরনের চিংড়ি চাষে অন্যান্য দেশের সাথেও প্রতিযোগিতা অংশ গ্রহণ করা হবে। একইসঙ্গে চিংড়ি চাষের অবনতির জন্য তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, খাদ্যে স্বয়ম্ভরতার পরে মাছ ও মাংসেও স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ম্ভরতা বলতে আমরা চাল / ভাতকে বোঝাই কিন্তু আসলে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, শাকসবজিও খাদ্য অংশ। তাই রপ্তানিযোগ্য চিংড়িমাতেও আমাদের অগ্রগতি অর্জন করা জরুরি আমরা ইতোমধ্যে দুধে স্বতঃস্ফূর্তির কাছাকাছি এসেছি, ডিমেও আমাদের আত্মবিশ্বাসী হতে হবে