যেভাবে সুরক্ষিত রাখবেন আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্ট

MD Aminul IslamMD Aminul Islam
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ১২:৫৮ পিএম, ১২ জানুয়ারি ২০১৯

গ্রাহককে নানান রকম সুবিধা এনে দিয়ে জনপ্রিয়তা পাওয়া মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা ‘বিকাশ’ অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে গ্রাহককে সচেতন হতে হবে। কিছুটা সচেতন হলেই মোবাইল অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ সরিয়ে নেওয়ার যে অপচেষ্টা অসাধু চক্র করছে তা বন্ধ করা সম্ভব।

বিকাশ অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখার কিছু উপায় বা কৌশল রয়েছে। সে সম্পর্কে জানিয়েছেন বিকাশ লিমিটেডের হেড অব করপোরেট কমিউনিকেশনের জেনারেল ম্যানেজার শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম।

১. ডিজিটাল জগতে যত ধরনের অ্যাকাউন্ট তা সবই পিন বা পাসওয়ার্ড দিয়ে সুরক্ষিত করা হয়েছে। ডিজিটাল ওয়ালেটের ক্ষেত্রেও তাই। একটি মাত্র পদক্ষেপ নিয়েই অনেকাংশে মোবাইল অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখা সম্ভব। আর তা হলো পিন বা গোপন নম্বর কাউকে না জানানো। পিন নম্বর ছাড়া কোনোভাবেই এ মোবাইল অ্যাকাউন্টে লেনদেন সম্ভব নয়। তাই মোবাইল ওয়ালেটের পিন নম্বর গোপন রাখতে হবে।

২. প্রায়ই শোনা যায় কেউ ফোন করে বিকাশ কর্তৃপক্ষের পরিচয় দিয়ে বা অন্য কোনো প্রলোভন/হুমকি দিয়ে পিন নম্বর চেয়েছে। পরিচিত বা অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন পেয়ে পিন নম্বর বা যেকোনো তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। যে পরিচয়ই দিক পিন নম্বর চাইলে বুঝতে হবে প্রতারক ফোন করেছে। বিকাশ কোম্পানি কখনো পিন নম্বর চাইবে না।

৩. অনেক গ্রাহক মুঠোফোনের হ্যান্ডসেটে বিকাশ অ্যাকাউন্টের নম্বর ও পিন নম্বর সেভ করে রাখেন, যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। পিন নম্বর, ইউজার আইডি মোবাইলে সংরক্ষণ করে রাখা উচিত নয়। মুখস্ত রাখাটাই সবচেয়ে সহজ উপায়। আর সবসময় লেনদেন শেষে অ্যাকাউন্ট থেকে লগআউট করতে হবে।

৪. অনেক ক্ষেত্রে প্রতারক নিজেকে সঠিক প্রমাণ করতে গ্রাহককে বলেন, মোবাইলে এসএমএস পাঠানো হয়েছে। এসএমএস কোন নম্বর থেকে এসেছে তা যাচাই করে নেওয়া গ্রাহকের দায়িত্ব। এসএমএস এলেও নিজে ব্যালেন্স চেক না করে ভুল করে দেওয়া টাকা ফেরত পাঠাবেন না।

৫. যেসব গ্রাহকরা প্রতারণার শিকার হন তাদের ফোনে কথা বলতে বলতেই  নির্দেশনা দেওয়া হয়। বলা হয়, এখন ১ চাপুন, এখন অ্যামাউন্ট দিন, পিন নম্বর দিন। ফোনের নির্দেশনা অনুসরণ করিয়ে আপনাকে দিয়েই আপনার অ্যাকাউন্টের টাকা প্রতারকের অ্যাকাউন্টে সরিয়ে নিতে পারেন। বিকাশ থেকে বলছি বা অন্য কোনো পরিচয় দিলেও তার নির্দেশনা অনুসারে ফোনের বাটন প্রেস করবেন না।

৬. ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার, ইমো বা অন্য কোনো মাধ্যমে খুব কাছের পরিচিত কেউ টাকা ধার চাইলে বা বিকাশ করতে বললে সঙ্গে সঙ্গে তা করবেন না। টাকা পাঠানোর আগে আসলেই তিনি টাকা ধার চেয়েছেন কি না, ফোন করে বা অন্য কোনো উপায়ে নিশ্চিত হয়ে নিন। কারণ আপনার পরিচিত ব্যক্তির ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার বা ইমোর তথ্যচুরি করে বা অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে সেখানে ঢুকে আপনাকে টাকা পাঠাতে বলতে পারে। সাম্প্রতিককালে এমন ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে।

৭. আর্থিক লেনদেনের সেবা হওয়ার কারণে ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) নির্ভর অ্যাপ ইনস্টলমেন্টের ব্যবস্থা করে অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত করা হয়েছে। কোনো অবস্থাতেই কাউকেই ওটিপি নম্বর শেয়ার করবেন না বা ওটিপির ম্যাসেজ শেয়ার করবেন না।

আপনার মতামত লিখুন :