তিস্তা ইস্যুর সমাধানে দ্রুত কাজ করব :সুষমা স্বরাজ।
স্টাফ রিপোর্টার:>>>
দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির বিষয়টি দ্রুত সমাধানে কাজ করার আশ্বাস দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ-ভারত যৌথ পরামর্শমূলক বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের এক আহবানে সাড়া দিয়ে তিনি এ কথা বলেন। একইসঙ্গে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। বৈঠক শেষে দুই মন্ত্রীর উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান বহুমুখী সহযোগিতা আরও জোরদারে চারটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ১৮০০ সরকারী কর্মকর্তাদের ভারতে প্রশিক্ষণের বিষয়ে একটি এমওইউ সই হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার নয়াদিল্লির জওহরলাল নেহেরু ভবনে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার যৌথ পরামর্শক কমিশনের (জেসিসি) পঞ্চম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। অন্যদিকে ভারতের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। বৈঠকে দুই দেশের সব অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন এবং দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি সমাধান করতে ভারতকে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। জবাবে সুষমা স্বরাজ আশ্বাস দেন যে, তারা তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি দ্রুত সমাধান করতে কাজ করবেন।
বৈঠক শেষে দেওয়া যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের মানবিক ভূমিকার প্রশংসা করেছেন সুষমা স্বরাজ। তিনি মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান ‘বহুমুখী সহযোগিতা’ আরও জোরদার করতে দুই দেশের মধ্যে গতকাল চারটি এমওইউ সই হয়েছে। বাংলাদেশের ১৮০০ সরকারি আমলার প্রশিক্ষণে ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর গুড গভর্নেন্স (এনসিজিজি), মুসোরি এবং বাংলাদেশের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি এমওইউ স্বাক্ষর হয়েছে। এই কর্মসূচীকে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভেন্টদের জন্য ‘ট্রেনিং ও ক্যাপাসিটি বিল্ডিং’ (প্রশিক্ষণ ও সামর্থ্য নির্মাণ) প্রোগ্রাম। এছাড়া মেডিসিন প্লান্টের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ভারতের ‘আয়ুস’-এর মধ্যে সহযোগিতা, বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (সিবিআই)-এর মধ্যে সহযোগিতা এবং বাগেরহাটের মংলায় ভারতীয় অর্থনৈতিক এলাকায় বিনিয়োগের লক্ষ্যে হিরানান্দানি গ্রুপ ও বাংলাদেশের বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের মধ্যে সহযোগিতা বিষয়ে এমওইউ।



