আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হয়রানি না করার আহবান ঢাবি শিক্ষকদের

স্টাফ রিপোর্টার :
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিার্থী এবং তাদের আত্মীয়-পরিজনকে হয়রানি না করতে আইনশৃঙ্খলা রাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক সমিতি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় কাবে লিখিত বক্তব্যে শিক সমিতির কার্যনিবাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আবদুস সামাদ এ আহ্বান জানান। : আবদুস সামাদ আরো বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক সমিতি আইনশৃঙ্খলা রাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে, তারা যেন আন্দোলনকারী শিার্থীদের, নিরপরাধ কোনো ব্যক্তি এবং তাদের আত্মীয়-পরিজনকে কোনো হয়রানি না করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক সমিতি
আন্দোলনকারী শিার্থীদের প্রতি এই আহ্বান জানাচ্ছে যে, তাদের এই আন্দোলনকে কোনোরকম গুজবের ওপর ভিত্তি করে কোনো মহল যেন ফায়দা লুটতে না পারে, সেদিকে তাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।’ একই সঙ্গে বলা হয়, শিার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে যুগোপযোগী ও যৌক্তিক মনে করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক সমিতি। বিশ্ববিদ্যালয়কে সচল রাখতে এবং শিার পরিবেশ বজায় রাখতে সংবাদ সম্মেলনে সবার সহযোগিতা চান শিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম। সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা সম্প্রতি দেশব্যাপী তুমুল আন্দোলন গড়ে তোলেন।
তারই পরিপ্রেেিত ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে বলেন, ‘খুব দুঃখ লাগে দেখলাম, হঠাৎ কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলন। এ আন্দোলনটা কী? সমস্ত লেখাপড়া বন্ধ করে রাস্তায় বসে থাকা। রাস্তার চলাচল বন্ধ করা। এমনকি হাসপাতালে রোগী যেতে পারছে না। কর্মস্থলে মানুষ যেতে পারছে না। লেখাপড়া বন্ধ। পরীা বন্ধ। এটা সমস্ত জায়গায় ছড়িয়ে পড়ল।’ তিনি বলেন, ‘যখন চায় না, তাহলে দরকার কী? কোটা পদ্ধতিরই দরকার নাই। যারা ুদ্র নৃগোষ্ঠী বা প্রতিবন্ধী, তাদের আমরা অন্যভাবে চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে পারব।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা এটা (আন্দোলন) করছে, তারা অনেকে আমার নাতির বয়সী। তাদের কিসে মঙ্গল হবে-না হবে, আমরা কি তা কিছুই বুঝি না? তাদের কিসে ভালো হবে, আমরা তা জানি না?’ কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত ১২ এপ্রিল চলমান আন্দোলন স্থগিত করেন সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা। এরপর গত ১৯ এপ্রিল রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কবি সুফিয়া কামাল হল থেকে তিন ছাত্রীকে বের দেয় কর্তৃপ। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, অপতথ্য ছড়ানোয় তাদের হল থেকে বের করে দেয়া হয়। : শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তিন ছাত্রীকে হলে ফেরাতে বাধ্য হয়। এদিকে ঢাবির আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আতঙ্ক এখনও কাটেনি বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ছাত্রলীগ আতঙ্কে ভুগছেন তারা।