রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সামির পাশে দাঁড়াবে প্রতিমন্ত্রী পলক
স্টাফ রিপোর্টার:>>>
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের সেই শিক্ষার্থী সামির উদ্দিনের পায়ের ব্যবস্থা হয়েছে। সেন্টার ফর দি রিহ্যাবিলিটেশন অফ দি প্যারালাইজড (সিআরপি) নামের একটি সংস্থা তার পায়ের ব্যবস্থা করেছেন বলে নিশ্চিত করেন তিনি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই পা সংযোজন করে দেবে সংস্থাটি বলে জানান তিনি।
সামির জানান, আমার বাবা একজন দিনমজুর। তার পক্ষে আমার পড়ালেখা চালানো সম্ভব ছিলো না। টিউশানি ও অন্যের জমিতে কাজ করেই আমি পড়ালেখা করতাম। কিন্তু পা হারানোর পর থেকে সেটিও আমার জন্য বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সামিরের পাশে দাঁড়ানো এবং আর্থিকভাবে সাহায্য করার জন্য আশ্বাস দেওয়ায় প্রতিমন্ত্রী প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সে। এছাড়া সামিরের মতো অসহায়দের সহায়তা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানান।
সামির আরও জানান, আমার কৃত্রিম পা সংযোজন নিয়ে গণমাধ্যমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি দেখে রাজশাহীর সেন্টার ফর দি রিহ্যাবিলিটেশন অফ দি প্যারালাইজড (সিআরপি) নামের একটি সংস্থা আমাকে কৃত্রিম পা কিনে দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে এবং এক সপ্তাহের মধ্যেই তারা আমাকে কৃত্রিম পা লাগিয়ে দেবেন। সংস্থাটির প্রতি আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
এর আগে ২০১২ সালে সপ্তম শ্রেণিতে পড়াকালীন জমিতে কাজ করতে যেয়ে আমি একটি পা হারাই। এরপর ২০১৬ সালে একটি সংস্থা থেকে আমাকে কৃত্রিম পায়ের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।
এরপর থেকে কৃত্রিম পায়ের সাহায্যে খুব কষ্টে চলাফেরা ও পড়ালেখা করে আসছিলাম। এই কৃত্রিম পায়ের কার্যকারীতা ছিলো ৩ বছর। যা ইতোমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে।
এদিকে সিআরপি সংস্থার পক্ষ থেকে পায়ের ব্যবস্থা হলেও এখনও পড়ালেখার খরচ চালানোর কোন ব্যবস্থা হয়নি বলে জানান সামির। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী স্নাতকোত্তর পর্যন্ত পড়ালেখার খরচ জোগাড় কিভাবে পরিচালনা করবেন সে নিয়ে সংশয়ের কথা জানান তিনি।
তাই চলাফেরার সুবিধার্তে একটি স্কুটি, প্রতিমাসে পড়ালেখা এবং থাকা-খাওয়ার খরচ বাবদ ৫ হাজার টাকার ব্যবস্থা করা হলে এসব প্রতিকুলতা পেরিয়ে আমি আমার কাঙ্খিত স্বপ্ন বিচারপতি হতে পারবো বলে আশাবাদ করেন।



