ওমানে ৩শ বাংলাদেশীর অাহাজারি দেখার কেউ নেই (ভিডিওসহ)

জিএস নিউজ ডেস্কজিএস নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৪:১৫ পিএম, ২৪ এপ্রিল ২০১৮

সৈয়দ মনির অাহমদ:>>>

যাদের রেমিটেন্সে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরছে।  তাদের বিপদাপদে রাষ্ট্রযন্ত্র গুলো উদাসিন। প্রায় কোন না কোন অারব দেশে বারং বার শুনতে হয় প্রবাসীর কান্না। গত তিনমাস ওমানের খাবুরা মরুভুমিতে শ্রমীক ক্যাম্পে ৩৫০জন বাংলাদেশি মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

 

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলাস্থ সোনপুর গ্রামের কামরুল ইসলাম টেলিফোনে জানান, ভারতীয় কনস্ট্রাকশন কোম্পানী ‘সীমপ্লেক্স ইনফ্রাসট্রাকসারস লিমিটেড’ ভিসায় কয়েক বছর অাগে তিনি সেখানে যান। শুরুতে কাজ ছিল বেতনও ছিল। গত তিনমাস ধরে কোম্পানীর মালিক রতন দত্ত ও ম্যানেজার জয়ন্ত দেবনাথ ভারতে অবস্থান করছেন। তারা অদৃশ্য কারনে ওমানে ফিরছে না। তাই কাজ থাকলে বেতন, খাবার, ঘর ভাড়া কিছুই মিলছেনা শ্রমীকদের।

 

কুমিল্লার কাউছার অালী জানান, ভারতের ২৫০জন শ্রমীক তাদের সাথে একই ক্যাম্পে ছিল। দুতাবাসের সহযোগীতায় তারা দেশে ফেরত যাচ্ছে।  কিন্তু বার বার যোগাযোগ করার পরও বাংলাদেশি দুতাবাস কোন সহযোগীতা করছেনা।

 

মৌলভীবাজার এর পলাশ দাস জানান, কয়েকবার যোগাযোগের পর দুতাবাস থেকে অানোয়ার হোসেন নামের এক কর্মকর্তা এসেছিলেন এরপর অার দেখা মিলেনি।

দুতাবাসের টোলমুক্ত ২৪৬৯৪৭৯৮ এ নাম্বারে টেলিফোন করলে দুতাবাস শ্রমীকদের অাদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন। চাঁদপুরের মামুন জানান, খাবুরা মরুভূমি থেকে দুতাবাস এবং অাদালতের দুরত্ব অনেক বেশি। সেখানে যাওয়ার মত কোন খরচাপাতি নেই।তাছাড়া মামলা করলে রায় না হওয়া পর্যন্ত অারো দুর্ভোগ পোহাতে হবে।

 

ঝিনাইদহের অাল অামিন জানান, সাড়ে তিনশ বাংলাদেশি চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিনাতিপাত করছে, দুতাবাসের কোন মাথা ব্যাথা নেই। কোম্পানী সুপার ভাইজার অাছে, তিনি চান পাওনাকৃত টাকা একতৃতীয়াংশ দিয়ে দেশে ফেরত পাঠাতে। এতে শ্রমীকরা রাজি হচ্ছেনা।

 

মঙ্গলবার দুপুরে দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব অানোয়ার হোসেন টেলিফোনে বলেন, রাষ্ট্রদূত গোলাম সারোয়ার ও পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় বিষয়টি অবহিত অাছেন। ওই কোম্পানীর একাউন্ট জব্দ থাকায় এ সমস্যা হয়েছে। দুতাবাস থেকে ওমানের শ্রম মন্ত্রনালয়, বৈদেশিক মন্ত্রনালয় সহ সংশ্লিস্ট দপ্তরে চিঠি দেয়া হয়েছে। অাশাকরি দ্রুত সমাধান হবে।

আপনার মতামত লিখুন :