জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নজরদারিতে

জিএস নিউজজিএস নিউজ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৫:৫৯ পিএম, ০৫ জুলাই ২০১৮

স্টাফ রিপোর্টার:>>>

 

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ভিডিও শেয়ারিং পোর্টাল ইউটিউব, মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার সহ বিভিন্ন ধরনের ব্লগ ও ওয়েবসাইটের মনিটরিং এর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। কেনা হচ্ছে সাইবার সিকিউরিটি টুলস। ফেসবুক থেকে পাওয়া যায় ইতিবাচক সাড়া সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা আছে।

 

জানা গেছে, কেউ যাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলি বিতর্কিত পোস্ট, হৃৎপিণ্ডের বক্তব্য প্রচার এবং ক্ষতিকর ভিডিওবার্তার প্রচার করে সামাজিক অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে পারে না তাই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে টুইটারে মিথ্যা ক্ষুদ্র-ব্লগ লিখুন সন্ত্রাসবিরোধী প্রচারণা যাতে কেউ চালাবার চেষ্টা না করেও নজরদারি করা যাবে এছাড়াও বিভিন্ন ব্লগে এবং এ ধরনের ওয়েবসাইট যাতে কোনও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালনা করতে পারে না, বিনা কারণে উস্কানি দিতে না পারে; তারাও মনিটর এর আওতায় আসে

 

সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীদের জন্য অনেকের নির্বাচনী প্রচার মাধ্যম হিসেবে সামাজী যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করতে হবে। অনলাইনে নিজের এবং দলের ইতিবাচক প্রচার চালান সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা- এই সুযোগটি কাজে লাগানো মুশরিকরা তারা সরকার এবং প্রার্থীদের বিরুদ্ধে বাজে পোস্ট করতে পারে, কুষ্ঠে রত হতে পারে; যা ভোটারদের কাছে দল এবং প্রার্থী ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সরকারের উন্নয়নের তথ্য বদলে বিকৃত তথ্য প্রচার করে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করতে চেষ্টা করা হতে পারে। এই বিষয়গুলো সামনে রেখে সরকার এখন সতর্ক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ফলে মনিটরিংয়ের বিষয় সামনে আসছে

 

এ বিষয়ে সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, ‘এই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। কারণ অনলাইন দুনিয়া ব্যাবহার করার জন্য ব্যবহার করা হয়। আমরা যে ঝুঁকি নিতে চাই না। ‘ইতিমধ্যে ফেসবুকের অপব্যবহার শুরু হয়েছে তিনি আরো বলেন, ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে। এখনই ফেসবুক থেকে তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য পাওয়া সম্ভব। ফেসবুকের আগে যেকোনো সময় দ্রুত সহযোগিতা হাত বাড়ানো প্রস্তুত

 

জানা গেছে, মন্ত্রী গত ফেব্রুয়ারি মাসে বার্সেলোনা অনুষ্ঠিত মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক করেছেন। সম্প্রতি ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশে আসেন এবং মন্ত্রীর সাথেও বৈঠক করেন। মন্ত্রী বলেন, ‘আগে ফেসবুকের তথ্য জানতে চাওয়া অনেক সময় এটি তথ্য দিতে হবে। অনেক সময় দিতো না এখন যেটা আছে, আমরা তথ্য চাইলে সেই তথ্য ফেসবুক দের সাথে। আসল কথা হল, ফেইসবুকের সাথে কম কমিউনিকেশন আছে।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার জানান, বেশ কয়েকটি সংস্থা থেকে ফোকাল পয়েন্ট নির্বাচন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আইসিটি বিভাগ, বিটিআরসিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান। যে ফোকাল পয়েন্ট ফেসবুকের সাথে যোগাযোগ করুন তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য এবং পরিসেবা পাওয়া সম্ভব।

 

জানা গেছে, ফেসবুকের বাংলাদেশ কিছু প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে- তারা বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে চায়। এর একটি হল ব্লাড ডনেশন বা রক্তদান কর্মসূচি। এরকম আরো কিছু কাজ ফেসবুক বাংলাদেশের সঙ্গে করা হবে

 

মোস্তফা জব্বার বলেন, ‘এটা নির্বাচন বছর। আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ সময়। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, প্রচার অভিযান ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে না এমন বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের সহযোগিতা করবে। আমরা কোন মিথ্যা তথ্য সরাতে বললে তাদেরকে সরানো হবে, দুর্নীতির আইডি ব্লক করা, আইপি চিহ্নিতকরণের পদক্ষেপগুলি এখন তাৎক্ষণিকভাবে নেওয়া সম্ভব। ‘

 

তিনি আরও বলেন, ‘ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আমাদের বলেছে, আপনি’ ইনস্টিটিললি ‘কিছু সরাতে বললে আমরা তা’ ইন্সটিনলি ‘সরানো। আগে ফেসবুকের সাথে যোগাযোগ ছিল না এখন এটা নিশ্চিত করা হয়েছে।

 

মন্ত্রী বলেন, ‘এছাড়াও আমরা সাইবার নিরাপত্তার জন্য কিছু নিরাপত্তা সরঞ্জাম সংগ্রহ করছি। এগুলি দিয়ে ইউটিউব, টুইটার এবং আরও কিছু কিছু রয়েছে যা মনিটর করা হবে। যে কোনও মোডেমের সাহায্যে এটি ব্যবহার করতে পারেন। অনলাইনে মাঝে মাঝে উত্সাহী কিছু তথ্য ছড়িয়ে পড়ে, ব্লগ লেখা হয়। এখন সাইবার সিকিউরিটি টুলস দিয়ে এই নজরদারি করা হবে।

আপনার মতামত লিখুন :