পুলিশের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সকালে চারজন আত্মসমর্পণ করলেও এক নারী, এক কিশোর ও শিশুটি ভেতরে থেকে যায়।
দুপুরে ১টার দিকে বোরকা পরা ওই নারী শিশুটিকে নিয়ে বেরিয়ে এসে তার দেহের সঙ্গে বাঁধা বিস্ফোরকের বিস্ফোরণ ঘটান বলে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কর্মকর্তা অতিরিক্ত উপ কমিশনার মো. ছানোয়ার হোসেন জানান।
ওই নারীকে উদ্ধার করা না গেলেও শিশুটিকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
চার বছরের শিশুটিকে দুপুর ২টায় হাসপাতালে নিয়ে যান ক্যান্টনমেন্ট থানার এসআই মাসুদুর রহমান।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. বাচ্চু মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্প্লিন্টারের জখম রয়েছে। বর্তমানে সে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের অপারেশন থিয়েটারে আছে।”
শিশুটি জঙ্গি ইকবালের মেয়ে বলে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তার মায়ের নাম শাকিরা।
ওই বাড়িতে তখনও ছিলেন আজিমপুরে অভিযানে নিহত নব্য জেএমবির নেতা তানভীর কাদেরীর এক ছেলে। বিকালে অভিযান শেষে তার লাশ পাওয়া যায়।
নিহত আরেক জঙ্গি নেতা জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী মেয়েসহ এবং পলাতক জঙ্গিনেতা মুসার স্ত্রীও তার মেয়েসহ সকালে ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পুলিশের কাছে ধরা দেন।