মোবাইল ইন্টারনেটে কারিগরি ত্রুটির অজুহাত আর কতো ?

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্কতথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৫:০৯ পিএম, ০৩ এপ্রিল ২০১৯
প্রতিকি ছবি

টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিতে মোবাইল অপারেটরগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়ের যেন শেষ নেই। এসব অভিযোগের বেশির ভাগই মোবাইলে ইন্টারনেটের গতি কম, আকাশ ছোঁয়া দাম , নেটওয়ার্ক সমস্যা, ডাটা ভলিউম নিয়ে।

মোবাইল অপারেটরদের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীদের দ্রুত ডাটা শেষ হয়ে যাওয়া, টাকা কেটে নেওয়া, আগের চেয়ে কম সময় ব্যবহার, লো পাওয়ার মোড ব্যবহার, ভিডিও না দেখার পরও ডাটা শেষ হয়ে যাওয়াসহ আরো অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।

সাধারণ গ্রাহকদের ক্ষোভ , কাস্টমার কেয়ারে বা অপারেটরের শর্টকোডে কল দিয়েও কোনো সমাধান পাওয়া যায় না।

এসব অভিযোগের বিষয়ে বিটিআরসির জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) জাকির হোসেন খান বলেন,‘ গ্রাহক যদি তার কেনা প্যাকেজের প্রাপ্য ডাটা বা ভলিউম সঠিকভাবে না পান, তাহলে তিনি প্রথমে সংশ্লিষ্ট অপারেটরের কাছে অভিযোগ করবেন।

প্রতিকার না পেলে কমিশনে নির্ধারিত ফর্মেটে অভিযোগ করবেন। কমিশন গ্রাহকের অভিযোগ যাচাই পূর্বক যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।’

বিটিআরসির সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে কমিশনে মোবাইল ফোনের গ্রাহকদের অভিযোগ জমা পড়ে ৩৫২২ টি। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে সব চেয়ে বেশি অভিযোগ ছিল; ১৯৭৩ টি। বাংলালিংকের বিরুদ্ধে ৬১২, রবির বিরুদ্ধে ৬০৪, এয়ারটেলের বিরুদ্ধে ২২১ ও টেলিটকের বিরুদ্ধে ১০৪ টি অভিযোগ ছিল।

এসব অভিযোগের ভিত্তিতে অপারেটরগুলোকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিটিআরসি।

কমিশনের এই উদ্যোগের ফলে গ্রাহক ও অপারেটরের মাঝে সমঝোতা হয়।

অপারেটরের ভুল বা কোনো গাফিলতি থাকলে সংশ্লিষ্ট মোবাইল কোম্পানি থেকে গ্রাহককে ক্ষতি পূরণের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিটিআরসি।
এসব সমস্যার কারণ হিসেবে মোবাইল ব্যবহারকারীদের তুলনায় অপারেটরগুলোর সক্ষমতা কম বলে জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপযুক্তিমন্ত্রি মোস্তফা জব্বার ।

শুধু ইন্টারনেট নয়, ভয়েস কলের বেলায় কোনও অভিযোগ পেলে তা খতিয়ে দেখে সেই অপারেটরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী।

জিএসনিউজ/এমএইচএম/এমএআই

আপনার মতামত লিখুন :