মানবিক সংকটে জম্মু-কাশ্মির

ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলকে কেন্দ্র করে কাশ্মীরে অবরুদ্ধ অবস্থার একমাস পূর্ন হলো গতকাল। টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় বহিঃবিশ্বের সাতে কার্যত বিচ্ছিন্ন কাশ্মীরের মানুষ। টানা ত্রিশদিনের অবরোধ ও সেনাবাহীনির ধরপাকড় ও নির্যাতনে জম্মুৃ-কাশ্মীরে দেখা দিয়েছে মানবিক সংকট । যদিও নয়াদিল্লির দাবি পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে।
গত ৪আগস্ট হঠাৎই জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে মোতায়েন করা হয় বাড়তি সেনা এবং গৃহবন্দি করা হয় কাশ্মীরের সাবেক মূখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতীকে, ওমর আব্দুল্লাহ সহ কাশ্মীরের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের। বন্ধ রাখা হয় সব শিক্ষা ও বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান।
সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় মোবাইল,ইন্টারনেট সহ সবধরনের যোগাযোগের মাধ্যম। এর একদিন পরই বাতিল করা হয় জম্মু কাশ্মীরে বিশেস রাজ্য মর্যদা। তবে এ ঘটনার এক মাস পেরিয়ে গেলেও স্বাভাবিক হয়নি অঞ্চলটির পরিস্থিতি।
কাশ্মীরের নাগরিকরা বলছেন,“ একতো তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে এবং গোটা দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন করে রাখা হয়েছে এবং ছালানো হচ্ছে অমানুসিক নির্যাতন, তার পরও সরকার বলছে সব কিছু নাকি স্বাভাবিক, তাদের প্রশ্ন কি স্বাভাবিক ।
গত তিন বছরে ১৭৯বার ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে ভারতে যা ইরাক সিরিয়া থেকেও বেশী,এরমধ্যে কাশ্মীরেই ৫৫বার ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাে হয়েছ।
ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের আঞ্চলিক সম্পাদক নিরুপমা সুব্রামানিয়াম বলেন,“আগে হয়তো কয়েক ঘন্টা বা কয়েকদিনের জন্য ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হতো তবে এবার মোবাইল ইন্টারনেট টেলিফোন সহ সবকিছুর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে দীর্গ” সময়ের জন্য এমনটা আগে কখনো হয়নি।
সেনা নিপীড়ন ও ধরপাকড়ের প্রতিবাদে গত এক মাসে দেড়শোরও বেশি বিক্ষোভ হয়েছে কাশ্মীর জুড়ে। গ্রেফতার হয়েছে এক হাজারের ও বেশী মানুষ।
জিএসনিউজ/এমএইচএম/এমএআই