রাত পোহালেই নুসরাত হত্যার রায়

ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলার রায় আগামীকাল (২৪ অক্টোবর) ঘোষণা করা হবে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এই তারিখ নির্ধারণ করেন।
গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসাকেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে গেলে তাঁকে ছাদে ডেকে নিয়ে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে তাঁর মায়ের শ্লীলতাহানির মামলা তুলে না নেওয়ায় তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ৮ এপ্রিল নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুসরাত মারা যান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেনীর পিবিআই পরিদর্শক মো. শাহ আলম ১৬ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ১৬ জন আসামির মধ্যে ১২ জন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
অভিযোগপত্র ভুক্ত ১৬ আসামি হলেন সোনাগাজীর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা, নূর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, সোনাগাজীর পৌর কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের, জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, হাফেজ আবদুল কাদের, আবছার উদ্দিন, কামরুন নাহার মনি, উম্মে সুলতানা ওরফে পপি ওরফে তুহিন ওরফে শম্পা ওরফে চম্পা, আবদুর রহিম শরীফ, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন ওরফে মামুন, মোহাম্মদ শামীম, রুহুল আমীন ও মহিউদ্দিন শাকিল।
নিহত নুসরাতের মা শিরিন আক্তার অধ্যক্ষসহ ১৬ আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি আশা করে বলেন, ‘নুসরাত হত্যার রায়ের মাধ্যমে অপরাধীরা যেন আর কোনো অপরাধ করার সাহস না পায়। এ রায় যেন দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে।
মামলার বাদী নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ন্যায় বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা আশা করি ন্যায় বিচার পাব।
এই মামলায় ৯২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৮৭ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
জিএসনিউজ/এমএইচএম/এমএআই